বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শুভেন্দু,‌ কেন গেলেন না বিরোধী দলনেতা?

রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শুভেন্দু,‌ কেন গেলেন না বিরোধী দলনেতা?

শুভেন্দু অধিকারী। (ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকলেন। সুতরাং আর রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি আসর জমাতে পারবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।

বরাবর অভিযোগ করা হয়, রাজ্যের অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হয়নি। এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকলেন। সুতরাং আর রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি আসর জমাতে পারবেন না বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন তিনি গরহাজির থাকলেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করতেই বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌বিশেষ কাজ থাকায় যেতে পারিনি। তবে ভালই করেছি যাইনি। কারণ গেলেই তো নানান অযৌক্তিক কথা শুনতে হতো। একজন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই ধরনের ভাষা শোভা পায় না। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই ধরনের কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে তিনি আতঙ্কিত।’‌

কোন কথাগুলি শুভেন্দু কাছে অযৌক্তিক?‌ সোমবার নজরুল মঞ্চে রাজ্য সরকারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌বাংলার মানুষের অসম্মান কোনওভাবেই বরদাস্ত নয়। তোমরা কী মনে কর কেন্দ্র সাধু আর রাজ্যগুলি চোর? রাজ্যগুলি আছে বলেই বেঁচে আছো। মহারাষ্ট্রে লড়াই করতে পারেনি৷ ভাবছে এর পর ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় তারপর বাংলা৷ আয় না একবার বাংলায়৷ বাংলায় আসতে গেলে বঙ্গোপসাগর পেরতে হবে৷ দিঘা পেরতে গেলে কুমির কামড়াবে, সুন্দরবন পেরতে গেলে রয়্যাল বেঙ্গল কামড়াবে৷ আর নর্থ বেঙ্গল পেরোতে গেলে হাতি শুঁড়ে পেঁচিয়ে ছুড়ে ফেলবে।’‌ উল্লেখ না করলেও এই কথাগুলিকে শুভেন্দু অযৌক্তিক বলে মনে করছেন।

ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?‌ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন তাতে সরকারি অনুষ্ঠানের গরিমা নষ্ট হয়েছে। এগুলি বলা ওনার মুখে মানায় না।’‌

বন্ধ করুন