শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে তুলে ধরেন। আর আজ, শনিবারই রাজ্যের বিরুদ্ধে নালিশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই চিঠিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বাংলার নাগরিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার সময় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অর্থাৎ রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে যখন দরবার করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেখানে তিনি বাধা হয়ে দাঁড়ালেন।
ঠিক কী লিখেছেন চিঠিতে? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট (এমজিএনআরইজিএ), প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা তছরুপ করা হয়েছে। নয়ছয় হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামও বদল করা হচ্ছে। দিনের পর দিন এই দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। গরিব মানুষ টাকা পাচ্ছেন না। ভুল শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করছে রাজ্য সরকার।’
আর কী লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী? রাজ্য যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা না পায় তাই বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা সঠিক খাতে ব্যবহার করে না রাজ্য প্রশাসন। এখানে দুর্নীতি হয়। আর একশ্রেণির বিডিও–সুপারভাইজাররা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। নথিতে রাজ্য সরকার দেখায়, হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ এবং অন্য চারা গাছ রোপণ করা হয়েছে। আধিকারিকরা যখন পরিদর্শন করতে যান, তখন রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয় ইয়াস, আমফান এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চারা গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এভাবেই দুর্নীতি হচ্ছে।’
তৃণমূল কংগ্রেস কী বলছে? বাংলার উন্নতির পথে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পর রাজ্যকে আক্রমণ করে এই চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু বলে পালটা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন পালটা আক্রমণ করে বলেন, ‘শুভেন্দুর চিঠিতে রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আসলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের পর যদি বকেয়া অর্থ রাজ্য পেয়ে যায়, তাহলে অনেকেই অস্বস্তিতে পড়বে। যারা চায় না রাজ্যের উন্নতি হোক, তাদের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া যাবে। তাই এই অভিযোগ করে চিঠি লেখা হয়েছে।’