মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। মোমিনপুর পরিদর্শনে যেতে গিয়ে গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি সাংসদকে আটক করার প্রতিবাদে আজ লালবাজারে পৌঁছে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, অগ্মিমিত্রা পাল, অশোক দিন্দাসহ ২১ জন বিজেপি বিধায়ক। নগরপাল বীনিত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান তাঁরা। পরবর্তীতে মোমিনপুরের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির প্রতিনিধি দল।
এদিন লালবাজারের সামনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘এটা রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির প্রমাণ। আমরা চাই সিএপিএফ কর্মকর্তারা দায়িত্ব গ্রহণ করুক এবং এনআইএ এর তদন্ত করুক... সুকান্ত মজুমদারকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এটা বাংলার পুলিশ নয়, মমতার পুলিশ।’
লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল একবালপুর, মোমিনপুর এলাকা থেকে। মোমিনপুরের উত্তেজনা ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানায় এই সংঘর্ষের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর একবালপুর থানায় ঢুকে ভাঙচুর করা হয়েছিল গতকাল। ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দুই ডিসি-সহ ৫ জন আহত হন। এই পরিস্থিতিতে এলাকা পরিদর্শনে যেতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছিল মাঝ রাস্তায়। এরপর তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গে থাকা বিজেপি নেতাদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদিকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে একবালপুর থানা এলাকায়। এলাকায় আর যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয়, সে জন্য বাড়তি বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে সেখানে।
অন্যদিকে শনিবার মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। টুইট বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, ‘আমি মাননীয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ এবং মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী লা গণেশনকে চিঠি লিখে তাঁদের অনুরোধ করেছি যাতে মমিনপুর সহিংসতা এবং একবালপুর থানার লুটপাটের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই যেন এই পদক্ষেপ করা হয়।’