আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষ হিসাবে মেনে নেবেন না বলে সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিলেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শুনে ফিরলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সভাপতি স্বর্ণকমল সাহা।
আরও পড়ুন - নাইট ডিউটি করতে ভালো লাগত না, জানিয়েছিল ও, বললেন নিহত মহিলা চিকিৎসকের প্রেমিক
পড়তে থাকুন - 'দেশটা কারও বাপের না', চতুর্থ দিন রাস্তা 'দখল', বাংলাদেশে গর্জন বাড়ছে হিন্দুদের
এদিন সকাল ১০টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে ন্যাশনাল মেডিকালে যান স্বর্ণকমলবাবু। সেখানে তখন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছান ডাক্তারি পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, কোনও ভাবেই সন্দীপ ঘোষকে অধ্যক্ষের পদে যোগদান করতে দেবেন না তাঁরা। স্বর্ণকমলবাবু সেখানে পৌঁছতেই ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। আন্দোলনকারীরা তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এরকম একজন ব্যর্থ মানুষকে তাঁরা কোনও মতেই অভিভাবক হিসাবে মেনে নেবেন না। মহিলা ডাক্তারি পড়ুয়ারা জানান, ওনার মতো অপদার্থ ব্যক্তি হাসপাতালের অধ্যক্ষ হলে আমাদের মা - বাবারা রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন না। পালটা স্বর্ণকমলবাবু বলেন, ঘটনার সঙ্গে তো সন্দীপবাবুর কোনও যোগ নেই। তখন পড়ুয়ারা স্পষ্ট করে দেন, উনি মহিলা চিকিৎসককে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এর পর স্বর্ণকমলবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটাকে কার্যকর করার চেষ্টা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।
আরও পড়ুন - ৭ চিকিৎসককে জেরা, পরীক্ষায় গেল ধৃতের DNA নমুনা, আজ তলব আরজি করের সহকারী সুপারকে
পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রবল চাপের মুখে সোমবার দুপুরে ইস্তফা দেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। খবর পেয়েই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভে বসেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা।