ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোলের মধ্যে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ট্যাবের টাকা সরাতে অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়েছিল প্রতারকরা। প্রতি ১০ হাজার টাকায় ৩০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল অ্যাকাউন্টগুলি। এই তথ্য সামনে আসার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে এই কেলেঙ্কারিতে এখনও পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরাই কি কেলেঙ্কারি কুশীলব?
আরও পড়ুন - জেনারেটারে চুল জড়িয়ে ভয়াবহ মৃত্যু গৃহবধূর, জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় যা ঘটল
পড়তে থাকুন - ছাত্রীদের মোবাইলে অশালীন মেসেজ, কুপ্রস্তাব, খারাপভাবে স্পর্শ, কাঠগড়ায় শিক্ষক
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে তারা জানতে পেরেছেন, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে সুবিধাভোগী ছাত্রছাত্রীদের নাম ও অন্যান্য তথ্য সরকারি বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করার দায়িত্ব স্কুলগুলির। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় কোনও স্কুলেই স্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর নেই। ফলে এই ধরণের কাজের জন্য হয় অস্থায়ীভাবে তাদের কর্মী নিয়োগ করতে হয়, নইলে স্থানীয় সাইবার ক্যাফেগুলির সাহায্য নেয় তারা। সেখান থেকেই ফাঁস হয়েছে পোর্টালের পাসওয়ার্ড। সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে সেখানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতারকদের ভাড়া নেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরগুলি।
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই ধরণের প্রতারণায় ব্যবহারের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে থাকেন প্রতারকরা। কোনও ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে ১০ হাজার টাকা লেনদেন পিছু তাকে ৩০০ টাকা করে দিতে হয়। তার বিনিময়ে ওই ব্যক্তির এটিএম কার্ড নিজের কাছে রেখে দেয় প্রতারকরা। টাকা ঢুকলেই ওই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে সরিয়ে ফেলে তারা। গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত বহু মানুষ সামান্য রোজগারের জন্য নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এভাবে ভাড়া দিয়ে থাকেন। প্রশ্ন উঠছে, এই ট্যাব দুর্নীতিতে পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তারাই কি দুর্নীতির পাণ্ডা, না কি তাদের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে দুর্নীতি চলছিল?
আরও পড়ুন - প্রিজন ভ্যানে ওঠার আগে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুঁড়ল সঞ্জয়, বেপরোয়া আরজি কর কাণ্ডের সিভিক
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ট্যাব প্রতারণার প্রস্তুতি অনেক মাস ধরেই চলছিল। তবে টাকা অ্যাকাউন্টে না ঢোকায় ব্যাপারটি এখন প্রকাশ্যে এসেছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, এবার ট্যাব কেলেঙ্কারি রুখতে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসহ পড়ুয়াদের অন্যান্য তথ্য আপলোড করার দায়িত্ব পড়ুয়াদের হাতেই ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা চলছে।