পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তবলিঘি জামাত ফেরত তীর্থযাত্রীরা। শনিবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, পদে পদে তাঁদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে রাজ্য প্রশাসন।
লকডাউন জারি হওয়ায় গত মার্চ মাসে তবলিঘি জামাতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে দিল্লির নিজামুদ্দিন দরগায় আটকে পড়েছিলেন বহু তীর্থযাত্রী। তাদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ। লকডাউন শুরুর পর তাঁদের উদ্ধার করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় দিল্লি সরকার। কোয়ারেন্টাই থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁদের সুস্থতার সার্টিফিকেটও দিল্লি প্রশাসন।
প্রায় দেড় মাস দিল্লিতে আটকে থাকার পর গত শুক্রবার রাতে বাসে করে পশ্চিমবঙ্গে ফেরেন জামাতে অংশগ্রহণকারীরা। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় পৌঁছতেই তাদের সঙ্গে শুরু হয় হয়রানি। রাতভর তাঁদের সীমানায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার পর তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়।
কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চলছে ভিনরাজ্য থেকে আসা ও রাজ্য ছাড়তে চাওয়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা। রবিবার দুপুরে সেখানেই চড়া রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা ব্যক্তিরা।
নিজামুদ্দিন থেকে ফেরা এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা রোজার মধ্যে ৬০ ঘণ্টা বাসে করে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছি। পশ্চিমবঙ্গ সীমানায় পৌঁছনোর পর থেকেই আমাদের সঙ্গে হয়রানি শুরু হয়েছে। প্রথমে সীমানায় আটকে বলা হয় সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পর জানানো হয় যার যার জেলায় স্বাস্থ্যপরীক্ষা হবে। তার পর আমাদের নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।’
শুধু নিজামুদ্দিন ফেরত জামাতিরাই নন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকরা। এমনকী সীমান্তে তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ অবশিষ্ট টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন অনেকে।