প্রতিশ্রুতি দিয়েও পুনর্বাসন দেয়নি সরকার। এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে কলকাতার টালা ব্রিজ উদ্বোধনের আগে ব্যপক বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, পুনর্বাসন না দিলে সেতু উদ্বোধন করতে দেবেন না তাঁরা। ওদিকে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, রেল জমি না দেওয়ায় পুনর্বাসন আটকে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুনর্বাসনের দাবিতে টালা ব্রিজের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গৃহহারারা। দীর্ঘদিন ধরে টালা ব্রিজের নীচে বসবসা করত বেশ কয়েকটি পরিবার। চিৎপুর রেল ইয়ার্ডে মাল খালাসের কাজ করত তারা। তাদের দাবি, টালা ব্রিজ ভাঙা শুরু হওয়ার ৩ মাস আগে একদিন এলাকায় আসেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তরুণ সাহা। বলেন, ব্রিজ ভাঙা হবে, আপনাদের এখান থেকে সরে যেতে হবে। আমরা ৩ মাসের মধ্যে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করব। কিন্তু তার পর ৩ বছর ঘুরতে চললেও কেউ ঘর পায়নি। ফুটপাথে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে অনেকে। এখন বলছে রেল জমি দিচ্ছে না বলে ঘর দেওয়া যাচ্ছে না। আগে এই কথা বললে আমরা উঠতাম না। ঘর না দিলে সেতুর উদ্বোধন করতে দেওয়া হবে না বলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
জাল নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগদান করেত গিয়ে শিলিগুড়িতে গ্রেফতার বাবা - ছেলেসহ ৪
বিক্ষোভ হঠাতে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘ওরা রেলের জমিতে ছিলেন। তাই পুনর্বাসনের দায়িত্ব রেলের। রেল জমি দিলে আমরা ঘর তৈরি করে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবতে পারি। কিন্তু আমাদের পক্ষে জমি দেওয়া সম্ভব নয়।’ পালটা বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, রেলকে ছাড়া যখন পুরনর্বাসন হবে না তাহলে অরণ্যদেবের মতো ‘৩ মাসের মধ্যে ঘর দিয়ে দেব’ বলতে কে বলেছিল কাউন্সিলরকে?