তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। পরিবার বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে। রাজ্যজুড়ে ভোট চলছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাসকে নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন উপযুক্ত পদক্ষেপ রাজ্য সরকার নিয়েছে। টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। তারপর বৈঠক হয়েছে রাজ্যপাল–মুখ্যসচিবের। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির বাতাবরণ তৈরি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন। যেখানে তিনি চিঠি দিতে পারতেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেটা তিনি করেননি। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
ঠিক কী লিখেছেন তমলুকের সাংসদ? তিনি চিঠিতে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে। শিশু–সহ হাজার হাজার প্রাণও কেড়ে নিতে তা সক্রিয়। বয়স্কদের জন্য টিকা সরবরাহ করে সংক্রমণ রুখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে মহাকুম্ভ এবং রমজান উপলক্ষ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে আপনার কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছি’।
এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে তিনিও কী ধরে নিচ্ছেন রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি? না হলে কেন এই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে রাজ্যপালকে লিখলেন তিনি? তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ হিসাবে রাজ্যপালের কাছে এই আর্জি জানাতেই পারেন। কিন্তু দলে থেকেও দলনেত্রীর বদলে রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানানো ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার শামিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে দাদা শুভেন্দুর বনাম দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী লড়াই মিটতেই সেখানের জেলাশাসককে চিঠি লিখেছিলেন দিব্যেন্দু। ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামে হাইভোল্টেজ নির্বাচন শেষ হতেই ওই এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করে জেলাশাসক সুমিতা পাণ্ডেকে একটি চিঠিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এবার দলনেত্রী তথা রাজ্য সরকারের বদলে রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিলেন তিনি। কিন্তু কেন নেত্রীকে এড়িয়ে এই পদক্ষেপ, তার ব্যাখ্যা দেননি তিনি।