এক সপ্তাহের রহস্যের পর অবশেষে সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাম উঠে আসা গোপাল দলপতির খোঁজ পেয়েছে ইডি। নিজেই ইডি দফতরে ফোন করে ইডি আধিকারিকদের সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু কোন মন্ত্রে অন্তর্ধান থেকে আত্মপ্রকাশ ঘটল গোপালের। ইডি সূত্রে খবর, এক্ষেত্রেও গোয়েন্দাদের সহযোগিতা করেছেন এই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। তাঁর পরামর্শেই ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন গোপাল।
সোমবার গোপালের আবির্ভাবের খবরে শোরগোল পড়ে যায়। বেলা ১টা নাগাদ ইডির তদন্তকারী আধিকারিককে ফোন করেন তিনি। জানান, তিনি গোপাল দলপতি বলছেন। কলকাতাতেই রয়েছেন তিনি। ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে বয়ান রেকর্ড করাতে চান। কুন্তল ঘোষ তাঁকে ফাঁসাতে চাইছেন। একথা শুনে মঙ্গলবার সকাল ১০.৩০ মিনিটের মধ্যে গোপালকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেন ইডির আধিকারিক।
এর পর ইডি সূত্রে জানা যায়, গোপালকে ইডির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছেন তাপস মণ্ডল। তদন্তকারীদের সহযোগিতা করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তদন্তকারীদের সহযোগিতা না করলে গ্রেফতারির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছেন। এর পরই ইডি আধিকারিকদের ফোন করেন গোপাল।
জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের গড়বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খিরিশবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা গোপাল। তবে বহু বছর আগে গ্রামের বাড়ি ছেড়েছেন তিনি। বর্তমানে থাকেন দমদমে। সেখানে গৃহশিক্ষকতা করেন তিনি।
গত ২১ জানুয়ারি কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর প্রথম তাঁর মুখে গোপাল দলপতির নাম শোনা যায়। তখন ইডি সূত্রে জানা যায়, চিটফান্ড কাণ্ডে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে গোপালকে হেফাজতে পেতে দিল্লির আধিকারিকদের মাধ্যমে তিহাড় জেলে যোগাযোগ করেন ইডির আধিকারিকরা। তখন জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ১ বছর আগে জামিনে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন গোপাল। এর পরই শুরু হয় গোপাল অন্তর্ধান রহস্য। যার যবনিকা পড়ল সোমবার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup