শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ খুলে এবার নিজের দলের ছাত্র সংসদকে অস্বস্তিতে ফেললেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়। এক ভাইরাল ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘অপমান করা, অশোভনীয় আচরণ, এরকম গোছের একটা ছাত্রসমাজ হয়েছে।’
রবিবারই প্রকাশ্যে এসেছিল তাপস রায়ের আরেক ভাইরাল ভিডিয়ো। যাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমায় ধরে রাখা খুব কঠিন। সময় এলেই দলকে জানিয়ে দেব যে, আর রাজনীতি করতে চাই না। ’ তৃণমূলের সেই অস্বস্তি কাটতে না কাটতেই সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে আরেক ভিডিয়ো। যাতে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময় নিজের দলের ছাত্র সংগঠনই সামাজিক অবক্ষয়ে আক্রান্ত বলে দাবি করেন তাপস রায়।
এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তখন দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী পাড়ার ছেলে, জেনারেল সেক্রেটারি। তাকে একটা চড় মারলেন প্রিন্সিপাল। আজকের দিনে ভাবতে পারেন কোনও কলেজে প্রিন্সিপাল ছাত্র পরিষদের ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারির গালে একটা চড় দেবেন। তার পর প্রিন্সিপাল বাড়ি ফিরে যাবে’?
তাঁর সংযোজন, ‘এটা আমি দ্বর্থহীন ভাষায় বলব। সে শিক্ষকও নেই। সেই ছাত্রও নেই। আমাদের সময় শিক্ষকদের দেখলে মাথা নীচু করতাম। এখনো প্রাইমারি বা সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রনাম করি। এখন সেসবের তো বালাই নেই। অপমান করা, অশোভনীয় আচরণ, এরকম গোছের একটা ছাত্রসমাজ হয়েছে। শিক্ষকরাও কিন্তু সেই আগের শিক্ষক নেই। সমাজের অবক্ষয় তো সর্বত্রই পৌঁছেছে। কিন্তু যদি, সমাজকর্মী রাজনৈতিক কর্মী, শিক্ষক, ছাত্র এদের মধ্যে বেশি মাত্রায় পৌঁছয় এটা কিন্তু সর্বনাশা সমাজের ও দেশের জন্য’।
তাপস রায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই পরিস্থিতি তো তৃণমূল কংগ্রেস ১০ বছর ধরে তৈরি করল। যারা শিক্ষায় অনিলায়নের বিরোধিতা করতে গিয়ে মমতায়ন করে এখন তো দুবৃত্তায়ন করে দিয়েছেন। এই কথাগুলো তিনি বলছেন তাঁর দলেরই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে’।