খাস কলকাতায় মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল। মঙ্গলবার বেশি রাতে দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা এলাকায় ওই মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্রেসবিজ এবং মাঝেরহাট স্টেশনের মাঝখানে রেললাইনের ধারে মহিলার দেহটি পড়ে ছিল। পুলিশের সন্দেহ, ঘটনা অন্য কোথাও ঘটিয়ে দেহ এখানে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বুধবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। সেখানে রিপোর্ট এলে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ সামনে আসবে। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃত মহিলার পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ওই রেললাইন ধরেই হাঁটছিলেন কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরাই ওই মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই মৃতদেহ দেখেই তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সেখানে এসে দেহটি উদ্ধার করেন। ততক্ষণে দেহে পচন ধরেছিল। এটা থেকে অনুমান ওই মহিলার সঙ্গে যাই ঘটে থাকুক তা এখানে ঘটেনি। অন্যত্র অপরাধ ঘটিয়ে দেহ এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের আশেপাশে আর কিছু পড়ে থাকতে দেখেননি পুলিশকর্মীরা। শুধু মহিলার গলায় কাটা দাগ ছিল। তাই তাঁর মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এটা খুন নাকি দুর্ঘটনা? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোর নির্বাচনী ব্যালটে ব্রাত্য ‘বাংলা ভাষা’, তুমুল বিতর্ক, প্রতিবাদে সংগঠনগুলি
পুলিশের সূত্রে খবর, ট্রেনের ধাক্কায় মহিলার মৃত্যু হলে শুধু গলায় দাগ থাকত না। তাই এখনই এটাকে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলা যাচ্ছে না। তবে খুন নাকি অন্য কিছু সেটা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বোঝা যাবে। আর দুই স্টেশন থেকে অন্তত ৩০ ফুট দূরে পড়েছিল ওই মহিলার দেহ। ওই মৃতদেহ দেখে অনুমান করা হচ্ছে, মহিলার মৃত্যু কদিন আগেই হয়েছে। তবে গলায় কাটা দাগ থাকায় খুনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। যদি ওই মহিলা স্থানীয় হতেন তাহলে কেউ না কেউ চিনতে পারতেন। ওই মহিলা স্থানীয় নয় সেটা পরিষ্কার হওয়া গিয়েছে।
আর যদি ওই মহিলা আত্মহত্যা করতেন তাহলে দেহের এমন হাল থাকত না। সেক্ষেত্রে শরীরে আঘাতের দাগই থাকত না বলে মনে করছে পুলিশ। শরীরে আঘাতের দাগ এবং বিশেষ করে গলায় কাটার দাগ থাকায় বিষয়টি খুব সহজ নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। সুতরাং আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পরই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এলাকা ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অবশ্য মনে করছে, মহিলার মৃতদেহ এখানে আসার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে।