সোমবারই নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপাতত তিন কোটি কোভিড প্রতিষেধক জোগাড়ের পরিকল্পনা শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও এব্য়াপারে এগিয়ে আসার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, তিন কোটি প্রতিষেধক কিনতে পারলে রাজ্য়ে ভ্যাকসিনের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। এব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থাকেও চিঠি দেবে রাজ্য সরকার। তবে তিন কোটির মধ্য়ে ২ কোটি প্রতিষেধক নিজেরা রাখবে সরকার। বাকি ১ কোটি প্রতিষেধক বেসরকারি হাসপাতালগুলির মাধ্যমে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিষেধক উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে টিকা আনার ব্যাপারে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য। প্রসঙ্গত টিকা কেনার ব্যাপারে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী একাধিক চিঠি কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছেন বলে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট। এবার সেক্ষেত্রেও কিছুটা আশার কথা এই রাজ্যেই। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ১১২টি কোভিড হাসপাতালে পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের সুবিধা রয়েছে। আরও ২৫টি হাসপাতালকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। আরও ৯৩টি হাসপাতালে অক্সিজেনের প্লান্ট তৈরির অনুমতি কেন্দ্রের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের ছাড়পত্রে রাজ্যের ৫টি হাসপাতালে সেই পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো তৈরির কাজ হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে তরল অক্সিজেন উৎপাদিত হচ্ছে দৈনিক ৪৯৭ মেট্রিক টন। তবে দৈনিক চাহিদা রয়েছে ২২৩ মেট্রিক টন। গুজরাতের জামনগর থেকেও অক্সিজেনের দুটি ট্যাঙ্কার আসছে রাজ্যে। অন্যদিকে করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধের কালোবাজারি রুখতে আরও তৎপর হচ্ছে পুলিশ, প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এব্য়াপারে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এব্যাপারে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।