গরুপাচারের কালো টাকা মলয় পিঠের ট্রাস্টের মাধ্যমে সাদা করেছেন অনুুব্রত। মলয় পিঠের ৪টি ট্রাস্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের। এই টাকাতেই তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ, এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তরুণজ্যোতির দাবি, নিজের সংস্থার কর্মীদের হাতে নগদ দিয়ে তা ব্যাঙ্কে অনুদান বলে দেখিয়ে জমা করিয়েছেন মলয়বাবু।
এদিন তরুণজ্যোতি বলেন, ‘চারটি ট্রাস্টের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা হয়েছে। সেগুলি হল গোবিন্দপুর শেফালি সেবা সমিতি, স্বাধীন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, SVG ITI প্রাইভেট লিমিটেড। এই চারটি সংস্থার অধীনে প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ থেকে আইটিআই সবই। এই প্রতিষ্ঠানগুলির অধীনে প্রচুর কর্মী কাজ করেন। যে লোকটা এই ট্রাস্টগুলোর মালিক সে ২০১১ সালের আগে সাইকেলে চড়ে ঘুরে বেড়াত। সে এখন কয়েক হাজার কোটির মালিক। মলয় পিঠ হচ্ছে জাস্ট একটা মুখোস আসল মুখ হচ্ছে অনুব্রত’।
পিছিয়ে গেল বঙ্গ–বিজেপির নবান্ন অভিযান, ব্যাকফুটে কেন গেলেন গেরুয়া নেতারা?
তাঁর দাবি, ‘ট্রাস্টের নামে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কারণ এখানে অডিট হয় না। তাই কালো টাকাকে সাদা করার সেরা জায়গা হচ্ছে ট্রাস্ট। যারা মলয় পিঠের বিভিন্ন আইটিআইতে কাজ করেন তাদের বেতন ৫,০০০ – ১০,০০০ এর মধ্যে। পিয়নের কাজ করেন এমন মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ করার জন্য। কেউ ২ লক্ষ টাকা দিয়েছেন, কেউ আবার ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে’।
পেশায় আইনজীবী তরুণজ্যোতি বলেন, ‘যারা লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে তারা ওই টাকা জীবনে একসঙ্গে চোখে দেখেননি। ধরুন কেউ ২ লক্ষ টাকা অনুদান করেছে বলে দেখানো হয়েছে। তাকে আগে থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে দিয়েছে মলয় পিঠ। আর বলে দিয়েছে, ১০ হাজার টাকা রেখে ২ লক্ষ টাকা NEFT-র মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবি। এভাবে খাতায় কলমে ওই টাকা অনুদান হলেও আসলে গরু পাচারের টাকাই অনুদান হয়ে ঢুকেছে। এভাবেই কালো টাকা সাদা হয়েছে’।
অনুব্রত গ্রেফতারির আগের দিন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন মলয় পিঠ। এর পর জানানো হয়, তাঁর ফিশ্চুলাটি শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজে অপারেশন করা যায় কি না সেব্যাপারে কথা বলতে মলয়বাবুকে ডেকেছিলেন তিনি। যদিও আসল কারণ আলাদা বলে দাবি বিরোধীদের। শুক্রবার অনুব্রতর চালকলে সিবিআই হানার সময় যে বিলাসবহুল গাড়িগুলি দেখা গিয়েছে তার মধ্যে অন্তত ২টি মলয়বাবুর ট্রাস্টের নামে নথিভুক্ত।