পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই 'বেসুরো' বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। নির্বাচনের আগে আগেই রাজ্যপালের দায়িত্ব থেকে অব্যাবতি নিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে আসার চেষ্টা করলেও সেই অর্থে 'সুযোগ' পাননি তথাগত। আর এরপর বিধানসভায় বিজেপির হারের পর থেকেই দিলপ ঘোষ, অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিয়বর্গীয়দের বিরুদ্ধে বেলাগাম আক্রমণ শানিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ এর প্রেক্ষিতে তথাগতকে দল ছাড়ার 'পরামর্শ' দিয়েছিলেন। আর এরই মাঝএ এবার বদলে গেল টুইটার ও ফেসবুকে তথাগত রায়ের 'বায়ো'। তবে দলবদলের জল্পনার মাঝএই তথাগত টুইটে জানান দিনি দল ছাড়ছেন না না। তবে দিয়ে রাখলেন 'বিস্ফোরণ' ঘটানোর ইঙ্গিত।
'বায়ো' বদল করার বিষয়টি টুইট করে নিজেই জানান তথাগত রায়। তিনি লেখেন, 'সাধারণ একটি তথ্য: আমার প্রোফাইলের বিবরণীতে একটা ছোট্ট বদল করেছি। এতদিন যেখানে 'ছবিতে দেখা যাচ্ছে আইকনিক রবীন্দ্র সেতু' লেখা ছিল, সেখানেই এখন 'সম্প্রতি হুইসেলব্লোয়ার' লেখা হয়েছে।' তারপরই আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, 'আমি 'বিজেপি' শব্দটিও লিখেছি যাতে লোকে অন্য কোনও কিছু না ভেবে বসে।' ফেসবুকেও একই বদল করেন তথাগত রায়। তবে সেখানেও তিনি স্পষ্ট করে দেন যে গেরুয়া শিবির ছাড়ার কোনও অভিপ্রায় তাঁর এই মুহূর্তে নেই।
একুশের নির্বাচনে হারের পর থেকেই বঙ্গ–বিজেপির একাংশকে বারংবার তোপ দেগেছেন তথাগত রায়। একাধিকবার নানা টুইট করে দলের নেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তিনি। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। 'কেডিএসএ' নিয়ে বারংবার সরব হয়েছেন তথাগত। অর্থাৎ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, শিব প্রকাশ এবং অরবিন্দ মেনন। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি তিনি বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখাও করেন। সেখানে খোলনলচে পাল্টাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। শুভেন্দু–সুকান্ত কেমিস্ট্রি তৈরি করতে সওয়ালও করেছিলেন তিনি। আর এবার তাঁর 'হুইসেলব্লোয়ার' পরিচিতি দলকে ফের একবার অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আর তাই তথাগত রায়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাঁকিয়ে কাজনৈতিক মহল।