বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মংডু শহর দখল করেছে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী 'আরাকান আর্মি'। এর জেরে মাথায় চিন্তার রেখা দেখা গিয়েছে ইউনুস সরকারের। নাফ নদীদে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আবার বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মাঝে বাংলাদেশকে কটাক্ষ করে একের পর এক পোস্ট করলেন ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। এই নিয়ে তথাগত এক পোস্টে বাংলাদেশিদের 'পাগল' বলে আখ্যা করেন। তিনি দাবি করেন, টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে 'কুকুর' আখ্যা দিলীপ ঘোষের! বললেন - 'ভিখিরিদের আশ্রয় ফুটপাতে')
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনের ঘুম উড়িয়েছে আরাকান আর্মি, বাংলাদেশে বাড়বে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ?
তথাগত রায়ের পোস্টে লেখা, 'বাংলাদেশি পাগলরা চিৎকার করে, আমরা কলকাতা দখল করব, ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করব, মাসাআল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, উ-লা-লা-লা, ইত্যাদি। এদিকে তাদের লুঙ্গির পিছনে আগুন ধরে গেছে! মায়ানমারের বৌদ্ধ আরাকান আর্মি টেকনাফ থেকে কক্সবাজার ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!' (আরও পড়ুন: ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কতটা জানেন? কী হাল পাকিস্তানের?)
এরপর অপর এক পোস্টে তথাগত রায় লেখেন, 'আরাকান আর্মি যদি সত্যিই আক্রমণ করে তাহলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়াবে। তারা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং হতাশ বাহিনী। বাংলাদেশ আর্মি এখনও পর্যন্ত যা নিয়ে গর্ব করতে পারে তা হল, তারা তাদের নিজেদের নেতাদেরই হত্যা করেছে: শেখ মুজিব ও পরিবার, জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ ইত্যাদি।' (আরও পড়ুন: হাতছাড়া হবে ফেনি? কলকাতা দখলের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ এখন নিজেই আতঙ্কে কাঁপছে!)
উল্লেখ্য, আরাকান আর্মি মংডু দখলের পর থেকেই নাফ নদীতে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে এসেছে বোমা-গুলির আওয়াজ। এমনকী বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজে গুলিও লেগেছে বলে অভিযোগ। তবে তাতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে নাফ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজ পুলিশের! একদিনেই চিহ্নিত ২০ অনুপ্রবেশকারী)
এদিকে গত ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৩টি শিবিরে মোট ১২ লাখ রোহিঙ্গার বাস বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন প্রদেশে থাকে। তবে অভিযোগ, মংডু শহর দখলের পর থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। যদিও মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এরই মধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এর আগে রোহিঙ্গারা কক্সবাজার এলাকার বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। তাদের 'দখলদারির' জেরে কক্সবাজারের পরিবেশ দূষণ এবং অপরাধ বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই আবহে আরও বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকলে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে মহম্মদ ইউনুসের জন্যে। এই আবহে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।