রাজ্য সরকার বেসরকারি বাসের ওপর নির্ধারিত রোড ট্যাক্স ও পারমিট ফি মকুব করতেই একতরফা ভাবে বর্ধিত ট্যাক্সিভাড়া প্রত্যাহার করলেন ট্যাক্সিমালিকরা। শুক্রবার বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে জানানো হয়, গত ১ অগাস্ট থেকে বর্ধিত যে ভাড়া লাগু হয়েছিল তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের সভাপতি বিমল গুহ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ তবে ভিতরের খবর, বাসের ট্যাক্স মকুব হতে এখন কপাল চাপড়ানোর দশা ট্যাক্সিমালিকদের।
বৃহস্পতিবার নবান্নে ৩ মাসের জন্য বাসের রোডট্যাক্স ও অ্যাডিশনাল ট্যাক্স। সঙ্গে এক বছরের জন্য পারমিট ফি মকুবের কথা ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে বকেয়া করের ওপর জরিমানাও মকুব করে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘোষণার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সবাই আবার যেন কর মকুব করতে বলবেন না। রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তার ওপর করোনা সামলাতে এত খরচ। নো আর্নিং, ওনলি বার্নিং।’ বলা বাহুল্য মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত ছিল ট্যাক্সিমালিকদের দিকে।
রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় রাতারাতি আলোচনা শুরু করেন ট্যাক্সিমালিকরা। তাতে শেষ পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
১ অগাস্ট থেকে ট্যাক্সিভাড়া বৃদ্ধির করে ট্যাক্সিমালিকদের সংগঠন বিটিএ। সরকারের অনুমতি ছাড়াই ন্যূনতম ভাড়া ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়। একে অ্যাপক্যাবের চাপে হলুদ ট্যাক্সির চাহিদা পড়তির দিকে। তার ওপরে লকডাউনের মধ্যে ভাড়া বাড়ায় কমে যাত্রী। তার ওপর সরকারের তরফে ট্যাক্সিমালিকদের ওপর চাপ দেওয়া হয়। জানানো হয়, পরিবহণ দফতরের অনুমতি ছাড়া ভাড়া বাড়ালে আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে মালিকদের বিরুদ্ধে। তার পরও নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন মালিকরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর এক চালে বানচাল হয়ে গেল তাদের পরিকল্পনা।