Jadavpur University teacher appointment: বিকাশ ভবনের নির্দেশের পরেই যাদবপুরে শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ রাতারাতি বাতিল

বিকাশ ভবনের তরফে মৌখিকভাবেই ইন্টারভিউ বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনেই ওই বিভাগে এদিন ইন্টারভিউ বাতিল করে দেওয়া হয়। যদিও কী কারণে ইন্টারভিউ করে দেওয়া হল? তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। কিন্তু, বিকাশ ভবনের এমন নির্দেশকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষা মহলে।

রাজ্যের অনেক কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের পদ খালি রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও একাধিক বিভাগে অর্ধেকের বেশি অধ্যাপক নেই। তাই বিভিন্ন বিভাগে অধ্যাপক নিয়োগের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন থিওরিটিক্যাল বা তাত্ত্বিক বিষয় পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা হবে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে। সেই অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার এবং আগামীকাল শুক্রবার কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ইন্টারভিউ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তারই মাঝে আচমকা বিকাশ ভবনের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেল যাতে বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে অধ্যাপক নিয়োগের ইন্টারভিউ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, বিকাশ ভবনের তরফে মৌখিকভাবেই ইন্টারভিউ বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনেই ওই বিভাগে এদিন ইন্টারভিউ বাতিল করে দেওয়া হয়। যদিও কী কারণে ইন্টারভিউ করে দেওয়া হল? তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। কিন্তু, বিকাশ ভবনের এমন নির্দেশকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষা মহলে। জানা যাচ্ছে, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দুটি শূন্য পদে নিয়োগ করার কথা জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই দুটি শূন্যপদের জন্য মোট আবেদন করেছিলেন ৬০ জন। বিভিন্ন দূরবর্তী এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরাও আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে ৪৭ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল।

এদিকে, ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য অনেকে প্রার্থী আগের দিনই কলকাতায় চলে এসেছিলেন। কিন্তু, হঠাৎ করে এভাবে ইন্টারভিউ বাতিল করার নির্দেশের ফলে আশাহত হয়েছেন অনেকেই। এমন সিদ্ধান্তের কথা আগে কেন জানানো হল না তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আবেদনকারীরা। যদিও বিকাশ ভবন কেন এই মৌখিক নির্দেশ দিল তার কারণ এখনও  পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, বিজ্ঞপ্তিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একাধিক বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের কথা জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ইউজিসি বা রাজ্য সরকার নির্ধারিত যোগ্যতার মাপকাঠি মেনেই সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন জানানো যাবে। প্রতি মাসে নিযুক্তদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবিধি মেনেই।