বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > শনিবার পূর্ণ সময় স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে আপত্তি শিক্ষকদের, সিদ্ধান্তকে স্বাগত অভিভাবকদের

শনিবার পূর্ণ সময় স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে আপত্তি শিক্ষকদের, সিদ্ধান্তকে স্বাগত অভিভাবকদের

শনিবার পূর্ণ সময় স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে আপত্তি শিক্ষকদের। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

স্কুল শিক্ষা দফতর শনিবারও পূর্ণ সময়ের জন্য পড়ুয়াদের ক্লাস করার সুযোগ করে দিতে চাইছে। ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে স্কুলগুলোকে সে বিষয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার পূর্ণ সময়ের জন্য স্কুল খোলা রাখার এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ শিক্ষকরা।

করোনা আবহের ফলে দীর্ঘ ২০ মাস ধরে বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ। মঙ্গলবার থেকে খুলে গিয়েছে রাজ্যের স্কুল-কলেজ। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় স্কুল শিক্ষা দফতর শনিবারও পূর্ণ সময়ের জন্য পড়ুয়াদের ক্লাস করার সুযোগ করে দিতে চাইছে। ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে স্কুলগুলোকে সে বিষয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার পূর্ণ সময়ের জন্য স্কুল খোলা রাখার এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, করোনা আবহে স্কুল বন্ধ থাকলেও নিয়মিত কাজ করতে হয়েছে শিক্ষকদের। না পড়ুয়াদের গৃহ পাঠের খাতা, অনলাইনে ক্লাস, মিড-ডে-মিল বিতরণ প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষকদের নিয়মিত নজরদারি চালাতে হয়েছে। ফলে শনিবার পূর্ণ সময়ের জন্য স্কুল খোলা থাকলে শিক্ষকদের অসুবিধা হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের একাংশ মনে করেন, বর্তমানে যেভাবে ক্লাস হচ্ছে তাতে ছাত্র-ছাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। অনেক পড়ুয়ায় স্কুলকে বন্দিখানার মতো মনে পড়ছে।কারণ টিফিনেও বেরোতে পারে না। সর্বক্ষণ মাস্ক পড়ে থাকতে হয়। এর ফলে অনেক ছাত্রছাত্রীই হাঁপিয়ে উঠেছে । ফলে ছাত্রছাত্রীরা আদৌও শনিবারে স্কুলে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান শিক্ষকদের একাংশ।

যদিও অভিভাবকদের একাংশ শিক্ষকদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, স্কুল বন্ধ থাকার সময় অনলাইনে ক্লাস হয়েছে ঠিকই তবে অনলাইনে শিক্ষকরা অল্প সময় দিতেন পড়ুয়াদের। তাছাড়া অনলাইনে পড়াশোনা র মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই। অভিভাবক দের মতে, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই অবস্থায় পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ।

এদিকে, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে বহু ছাত্র স্কুল ছেড়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছে। অনেক ছাত্রীকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে তাদের পরিবার। সেই সমস্ত প্রবাদের পুনরায় স্কুলে ফিরিয়ে আনার নির্দেশে মধ্যেই স্কুলগুলোকে দেওয়া হয়েছে।

বন্ধ করুন