শিক্ষক বদলি নিয়ে রাজ্যে সমস্যা থেকেই গিয়েছে। কখনও শিক্ষিকারা বিষপান করছেন, কখনও শিক্ষক–শিক্ষিকারা পথে নেমে সোচ্চার হচ্ছেন। শিক্ষক–শিক্ষিকাদের বদলির বিষয়ে তৈরি হয়েছে উৎসশ্রী পোর্টাল। যার উদ্দেশ্যটা ভাল হলেও বাস্তবায়নে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের খুশি করতে পারেনি। এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
গত শুক্রবার শিক্ষকদের বদলির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। উলটে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও বেশিরভাগেরই উত্তর মেলেনি। তাতে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বদলি যদি বাড়ির নিকটে না হয় তাহলে বদলির অর্থ কী? উঠেছে প্রশ্ন।
এই সরকারি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের একাংশের দাবি, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে—বিধবা, প্রতিবন্ধীর মতো ‘প্রেফার ক্যাটেগরি’ ব্যতীত স্কুলের একমাত্র বিষয়ের শিক্ষক–শিক্ষিকার বদলির আবেদন গ্রাহ্য করা হবে না। এই নীতির ফলে অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, ‘একমাত্র শিক্ষক বদলি হলে, সংশ্লিষ্ট স্কুলের সেই বিষয় পড়ানোর কোনও শিক্ষকই থাকবেন না। বরং পরবর্তী সময়ে ওই স্কুলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক সংখ্যা বাড়লে বদলির সুযোগ মিলবে।’ এই প্রেক্ষাপটে কয়েকজন শিক্ষক বলছেন, কবে রাম রাজা হবে তবে সীতা বনে যাবে—এভাবে কি চলে নাকি!
কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে? বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটা স্কুল থেকে তার মোট শিক্ষক সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বদলির আবেদন করতে পারবেন না। প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে ১০ শতাংশের হিসাব হবে? অর্থাৎ সময়সীমা কী? আবার একজন শিক্ষক–শিক্ষিকা তিনটি স্কুলের মধ্যে একটি বেছে নিতে পারবেন। এবারের বিজ্ঞপ্তিতে নাকি তা নেই। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে শিক্ষক–শিক্ষিকারা অখুশি।