আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চলতে থাকা এই আন্দোলনে নাকি সমর্থন রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এমনই দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস পথেও নেমেছে। তাও যেন প্রতিবাদে 'ভয়' রয়েছে প্রশাসনের। এই আবহে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। উল্লেখ্য, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তাতে উপস্থিত থাকার কথ ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের। তবে সেই অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: RG করে 'লাল জামা' বিতর্কের মাঝে ফের চর্চায় অভীক দে, বিক্ষোভ বর্ধমান মেডিক্যালে)
আরও পড়ুন: 'আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবাকে হাউজ অ্যারেস্ট করে রেখেছে পুলিশ, CISF জানেও না'
জানা যাচ্ছে, সেই অনুষ্ঠানেই স্কুল ও শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার কথা ছিল মমতার। এই আবহে আগে থেকেই সম্মানের জন্যে নির্বাচিত স্কুলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিষয়টি। তে এবার সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। আর এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, আরজি কর ইস্যুতে যেভাবে শিক্ষক এবং স্কুলের পড়ুয়াা পথে নেমেছেন, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকা জারি করেও অবশ্য প্রতিবাদ থামাতে পারেনি রাজ্য সরকার। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, শিক্ষক দিবসেও আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদের আশঙ্কা থেকেই কি অনুষ্ঠান স্থগিত করা হল? (আরও পড়ুন: 'দাদাগিরি চলবে', TMC-র চিকিৎসক নেতাকে নিষিদ্ধ করার ২২ ঘণ্টা পরই বাতিল নির্দেশিকা)
আরও পড়ুন: আরজি কর থেকে সিঁথি, সিভিকই যেন 'গলার কাঁটা', বড় পদক্ষেপের পথে পুলিশ
আরও পড়ুন: 'মাননীয়ার ভাসুরের ছেলে', মমতা-সন্দীপের 'সম্পর্ক' নিয়ে পোস্ট, অভিযোগ দায়ের TMC-র
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়। তারইমধ্যে কয়েকটি জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, যে স্কুলের বাইরে কোনওরকম কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে না পড়ুয়ারা। শুধুমাত্র স্কুলশিক্ষা দফতরের আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানেই তারা যোগ দিতে পারবে। তবে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, তাতে কোথাও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের উল্লেখ ছিল না। তবে চিকিৎসকদের বক্তব্য ছিল, এটা বুঝতে বাকি নেই যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুন ঘটানোর প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে, তাতে রাশ টানতেই এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এই কারণে সেই নির্দেশিকা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছিল শিক্ষক মহল।