সমস্ত স্কুল খুলে গিয়েছে। এখন স্কুলে নিয়মিত আসছে পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের উপর নজরদারি রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অধিকাংশ স্কুলের শিক্ষকরা। কিন্তু বহু স্কুলে যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, তেমনই আবার অনেক স্কুলে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও সেগুলির মান এতটাই খারাপ যে ঠিকমতো বোঝা যায় না। তাই সিসিটিভি মেরামত এবং নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য শিক্ষা দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছে বহু স্কুল।
শিক্ষক মহলের একাংশের বক্তব্, যখন পড়ুয়ারা ক্লাসের মধ্যে থাকছেন শিক্ষকের অধীনে তখন সিসিটিভির নজরদারি হয়ত প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যখন শিক্ষকরা ক্লাসে উপস্থিত থাকেন না অথবা ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসের বাইরে থাকেন তখন তাদের সুরক্ষার জন্য সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারির প্রয়োজন আছে। কিন্তু সিসিটিভির অভাবে বা গুণগত মান খারাপ থাকার ফলে সেই নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না।
খিদিরপুরের একটি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের মতে, ছাত্রছাত্রীদের উপর নজরদারির জন্য উন্নত মানের সিসিটিভি ক্যামেরা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে সিসিটিভি লাগানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ওই এলাকার একটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনে করেন, স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের উপর নজরদারির জন্য ক্লাসের ভিতর এবং বারান্দায় সিসিটিভি বসানোর প্রয়োজন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অধিকাংশ স্কুলের মতোই ছাত্রছাত্রীদের কাছে কম টাকা ফি নিয়ে তাদের পক্ষে সিসিটিভি রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব নয়। তাই এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আবার অনেক স্কুলে সিসিটিভি ছিল, কিন্তু আমফানের তাণ্ডবে তা নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলি মেরামত করার পর দেখা যায় ঠিকমতো কাজ করছে না। এমনটাই দেখা দিয়েছে দক্ষিণ শহরতলির একটি স্কুলে। এই স্কুলে ২০১২ সাল থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। কিন্তু আমফানে সেগুলি নষ্ট হয়ে যায়। মেরামতের পরও সেগুলি ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এই পরিস্থিতিতে সেগুলি মেরামতের জন্য স্কুল জেলা পরিদর্শকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
স্কুলের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিসিটিভি ক্যামেরা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষকদের একাংশ। আবার যদি সেগুলির মেরামতের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেশি নেওয়া হয়, সে বিষয়টি ঠিক হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই। ফলে এই বিষয়টিতে শিক্ষা দফতরের আলোকপাত করা প্রয়োজন রয়েছে বলেই শিক্ষকদের একাংশের মত।