প্রতিবেশীর হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন তরুণী। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেল। নিজের পোষ্যকে বাঁচাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হতে হলো তাঁকে! এই অভিযোগ তুলেছেন সল্টলেকের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত এক তরুণীর। বিধাননগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন নির্যাতিতা দক্ষিণ বিধাননগর থানায়।
পুলিশের সূত্রে খবর, সল্টলেক পূর্বাচল ক্লাস্টারের বাসিন্দার ফ্ল্যাট থেকে তাঁর সারমেয়টি বেরিয়ে পড়ে বাইরে। আর তারপর কুকুরটি আবাসনেরই ছাদে চলে যায়। সেখানে সারমেয় চিৎকার শুরু করে। তাতেই বিরক্ত হয়ে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা স্বস্তিক গাঙ্গুলী ছাদে উঠে কুকুরটিকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। তখন ওই তরুণী প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এমনকী শ্লীলতাহানি করে হুমকি দেয় প্রতিবেশী ব্যক্তি বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে চমকে যান ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগ, ‘সকালে তিনতলা থেকে আমার কুকুরটি নিচে নেমে যায়। তার পর আবাসনের ছাদে চলে যায়। সেখানে এক মহিলা ব্যায়াম করছিলেন। তাঁকে দেখে চেঁচাতে থাকে কুকুরটি। ভয়ে তরুণী ঘরে ঢুকে পড়েন। ওই আবাসনের এক প্রতিবেশী স্বস্তিক গাঙ্গুলী কুকুরটিকে বেধড়ক মারধর করেন।’
তখন পোষ্যকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী হাত দিয়ে তাঁর বুকে, পেটে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তরুণীর দাবি, উনি চিৎকার বলতে থাকেন, ‘হয় তুই থাকবি, নয় তোর কুকুর! আমি ভাবতে পারছি না, বৃদ্ধ বাবা–মাকে নিয়ে এখানে নিরাপদ কিনা।’ এই ঘটনায় অভিযুক্তের বয়ান পাওয়া যায়নি।