রাজ্যে আর নিজেদের প্রয়োজন মতো আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না স্কুলগুলি। লোকসভা ভোট চলাকালীনই বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। এর পিছনে কী কারণ তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, রাজ্যের স্কুলগুলির যে দশা তাতে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে না দিলে পঠনপাঠন শিয়েক উঠবে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে চুপ করে থাকব না, ঈশ্বর ওনাকে চৈতন্য দিন: কার্তিক মহারাজ
পড়তে থাকুন: দিকে দিকে প্রতিবাদ, ‘ও একটা পাগলি’ মমতাকে বললেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জেরবার রাজ্য সরকার এবার স্কুলগুলিতে শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়া অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে স্কুল পরিদর্শকদের জানানো হয়েছে কোনও স্কুল দফতরের অনুমতি ছাড়া অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না। ওদিকে দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় স্কুলগুলিতে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতের বেহাল দশা। এই অবস্থায় পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে স্কুলগুলির একমাত্র ভরসা অস্থায়ী শিক্ষকরা। সেই অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগে দফতরের অনুমতি নিতে গেলে দীর্ঘসূত্রিতার আশঙ্কা করছেন অনেকে। আর তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ছাত্রছাত্রীরা।
কিন্তু কেন শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্ত? শিক্ষকদের একাংশের মতে এমনিতেই নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারের ওপর খাঁড়া ঝুলছে। তার ওপরে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হলে কয়েক বছর পর থেকেই তাদের স্থায়ীকরণের দাবি উঠতে শুরু করবে। স্কুলগুলি যাদের অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হচ্ছে তারা সবাই বিএড ডিগ্রিধারী।
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশকারীদের নিমন্ত্রণ করে নিয়ে আসে আর বাঙালিদের ঘেন্না করে তৃণমূল: মোদী
তবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকরা জানিয়েছেন, এই নির্দেশিকা নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন জেলায় আগে থেকেই বিষয়টি কার্যকর করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা মানতেই হবে। তবে পঠনপাঠনে যাতে প্রভাব কম পড়ে সেব্যাপারে খেয়াল রাখবে শিক্ষা দফতর।