এঁটো আপেল ফেলা নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরজি কর হাসপাতাল। রবিবার দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে আহত হলেন এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। লাঠির বাড়ি লেগে লুটিয়ে পড়লেন রাস্তায়। হাসপাতালের কর্মীদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতালের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। অ্যাম্বুল্যান্সের কাঁচও ভেঙে দেন অবরোধকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আহত চতুর্থ শ্রেণির কর্মী শুক্লা রায়কে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভরতি করা হয়েছে।
রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেশ মল্লিক নামের এক হাসপাতাল কর্মী আপেল খাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি মুখ থেকে তা বাইরে ফেলে দেন। তা দেখে এক নিরাপত্তাকর্মী ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। কেন মুখ থেকে এইভাবে খাওয়া জিনিস ফেলা হল, তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
অভিযোগ উঠেছে, সেই সময় সুরেশকে ধরে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী মারধর করেন। ঘতার জেরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরজি কর হাসপাতালে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাঁর মধ্যস্থতায় আরজি করের ফাঁড়িতে দু’পক্ষকে হাজির করানো হয়। সেখানে ফের বচসা শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে।
চতুর্থ শ্রেণির কয়েকজন কর্মী রাস্তায় বসে পড়েন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। অভিযোগ উঠেছে, এরই মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী শুক্লা রায়কে লাঠির দিয়ে মারেন এক পুলিশকর্মী। সেই আঘাতে সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই কর্মী।
ঘটনায় আহত হন আরও দু’জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। এই ঘটনার পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আরজিকর হাসপাতাল চত্বর। পুলিশের সঙ্গে কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ। চতুর্থ শ্রেণীর মহিলা কর্মীরা ওই পুলিশ কর্মীকে ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। এই ঘটনা ঘিরে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয় যে, আপাতত তারা কোনও পদক্ষেপ না নিলেও এই ঘটনার বিচার না পেলে আরও বড়সড় আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।