বাংলাদেশে হিংসার পরিস্থিতির জেরে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে সীমান্তে। এদিকে বুধবারই জলপাইগুড়ির একটি সীমান্ত এলাকায় ওপার বাংলার লোকজন জড়ো হয়ে গিয়েছিলেন বলে খবর। এরপর তাদের একাংশকে কোনওরকমে তাদের বাড়িতে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে। তবে এবার পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। কাঁটাতারের ওপারে যে ভারতীয় ভূখণ্ড রয়েছে সেখানেও নজরদারি করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল বাংলাদেশের কারাগার থেকে অন্তত ২০জন জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। সেকারণেও সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ। কারণ তাদের কেউ যদি ভারতে প্রবেশ করে ফেলে তবে বিপদ হতে পারে। কেউ যাতে লুকিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেকারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিএসএফ।
ইতিমধ্য়েই সীমান্তের গ্রামগুলিতে মিটিং করছে বিএসএফ। গেদে সীমান্তের কাছে বিএসএফ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিএসএফের আধিকারিকরা সাধারণ গ্রামবাসীদের নানাভাবে সচেতন করেন। সেই মিটিংয়ে বলা হয়েছে সীমান্তের ওপারে লোকজন জড়ো হলেই যেন বিএসএফকে খবর দেওয়া হয়।
বিএসএফের তরফে ইতিমধ্যে নদিয়ার বিভিন্ন সীমান্তের গ্রামে মিটিং করা হয়। কাউকে যদি জিরো পয়েন্টে যেতেই হয় সেক্ষেত্রে যেন বিএসএফকে আগাম জানানো হয় সেটাও জানানো হয়েছে।
নদিয়ার চাপড়া ব্লকের ওপারেই বাংলাদেশের কুষ্ঠিয়া জেলা। আর সেই কুষ্ঠিয়ার সংশোধনাগার থেকে পালিয়েছে জঙ্গিরা। সেখান থেকে কেউ যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেটা দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পাটগাছগুলি বড় হয়েছে। সেখানেও কেউ লুকিয়ে থাকতে পারে। সেকারণে এগুলি যতটা সম্ভব কাটার কথা বলা হয়েছে।