করোনায় পশ্চিমবঙ্গে রোজ দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। জমছে লাশের স্তূপ। অক্সিজেন, ওষুধের হাহাকার কলকাতা থেকে জেলায় জেলায়। সংক্রমণ রুখতে জারি লকডাউনে রুজি রোজগার হারিয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। বন্ধ ট্রেন – বাস। এত হতাশার মধ্যেও একটুকরো আশার আলো দেখাচ্ছে পরিসংখ্যান। রাজ্যে ক্রমশ কমছে টেস্ট পজিটিভিটি রেশিও। গত ৪ দিনে ৬.৩ শতাংশ। থিতু হয়েছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা।
প্রতি ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করে যতগুলিতে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায় তাকে বলে টেস্ট পজিটিভিটি রেশিও। এপ্রিলের শুরুতে রাজ্যে টেস্ট পজিটিভিটি রেশিও ছিল ৩ – ৪ এর মধ্যে। লাফিয়ে বেড়ে ২৬ এপ্রিল তা পৌঁছয় ৩২.৯ শতাংশে। তার পর বেশ কিছুদিন ৩০ শতাংশের আসেপাসে ঘোরাফেরা করেছে এই হার। গত ১৭ মে রাজ্যে টেস্ট পজিটিভিটি রেশিও ছিল ৩১.৮ শতাংশ। তার পর গত ৪ দিন লাগাতার কমেছে সংক্রমণের হার। শুক্রবার ২১ মে যা এসে দাঁড়িয়েছে ২৫.৫ শতাংশে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, লকডাউনের ফল মিলতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। যার ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা কমেছে। কিন্তু রাজ্যে পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যায় তা বোঝা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে রাজ্যে স্থিতিশীল হয়েছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও। গত ১৬ মে থেকে হ্রাস-বৃদ্ধি মিলিয়ে রাজ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা প্রায় একই রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আর কিছুদিন লকডাউন চললে লক্ষ্যনীয়ভাবে কমতে শুরু করবে সংক্রমণ। বিষয়টি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মত তাঁদের।