প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার রেট কত? এনিয়ে নানা চর্চা রয়েছে বাংলা জুড়ে। তবে আদালতে জমা পড়া সিবিআইয়ের রিপোর্টে এবার বিস্ফোরক তথ্য। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বাগদার চন্দন ওরফে রঞ্জন মণ্ডলকে ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি কিনেছিলেন এক মহিলা। এমনকী প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাতে না বসেও হাতেগরমে চাকরি মিলেছে বলে অভিযোগ। কার্যত একেবারে বিস্ফোরক তথ্য এবার সামনে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা রয়েছে নদিয়ার হবিবপুরের পানপাড়ার রাঘবপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন এক মহিলা। ওই শিক্ষিকার স্বামীকে জেরা করে সিবিআই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে বলে সূত্রের খবর। ওই মহিলা প্রথমে একবার টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু সেবার তিনি টেট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। এরপর টেট পরীক্ষায় না বসেও তাঁর চাকরি জুটে যায় বলে দাবি করা হয়েছে।
আর সবটাই সেই বাগদার চন্দনের আশীর্বাদে। সেখানে সাড়ে ৭ লাখ টাকা জমা দিতেই হাতেগরমে চাকরি। কীভাবে হল চাকরি? ২০১৫ সালের অগস্ট মাসে বাগদার চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগের পর টাকা দিয়েছিল ওই পরিবারের। টাকা ফেলতেই হাতে নিয়োগপত্র।
আর পরীক্ষায় না বসেও জুটে গেল চাকরি। একেবারে বিস্ফোরক অভিযোগ। একদিকে পাস করেও চাকরি জুটছে না অনেকের। দিনের পর দিন বিক্ষোভে, আন্দোলনে দিন কাটছে তাঁদের। আর একদল পরীক্ষা না দিয়েও শুধু টাকার জোরে চাকরি হয়ে গিয়েছে।