২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা ভুল প্রশ্নের মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আদালতের নির্দেশে মামলাকারীদের ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা ছিল মানিকবাবুর। তবে আদালত কলকাতা হাই কোর্ট এদিন জানায়, এখনই জরিমানার টাকা দিতে হবে না তাঁকে। জরিমানা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেছে কলকাতা হাই কোর্ট।
শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট মামলাটি শুনানি হয়। সেখানে আগের নির্দেশিকার উপর আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এই নিয়ে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বেঞ্চের তরফে।
প্রসঙ্গত, আদালত অবমাননার দায়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। গত ৩ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ ছিল, জরিমানার টাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তহবিল থেকে দেওয়া হবে না। সভাপতি নিজেই মামলাকারী ১৯ জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দেবেন। একইসঙ্গে, মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের সাতদিনের মধ্যে ভুল প্রশ্নগুলিতে পূর্ণ নম্বর দিয়ে তাঁদের টেট-এর শংসাপত্র দিতে হবে। মামলাকারীদের ইন্টারভিউয়ে বসারও সুযোগ করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ছয়টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তারই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, যে চাকরিপ্রার্থীরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের সকলকেই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলির জন্য পূর্ণ নম্বর দিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কোনও পদক্ষেপ করেনি। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ১৯ জন পরীক্ষার্থী। এতে ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন।