দাবি একটাই। চাকরি চাই। আর এই দাবিতেই নিদ্রাহীন রাত কাটল মহানগরীর রাজপথে শুয়ে। মঙ্গলবার সকাল হতেই সবাই দেখলেন সল্টলেকের করুণাময়ীতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে অবস্থান চলছে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। গতকাল, সোমবার বেলা ১২টা থেকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ নন–ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সোমবার দুপুর ২টো থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। আজ, মঙ্গলবার সকালেও পর্ষদের অফিসের সামনে বসে রয়েছেন তাঁরা।
ঠিক কী দাবি টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের? এই চাকরীপ্রার্থীদের দাবি, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নিতে চান না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন। এমনকী দু’বার ইন্টারভিউও দিয়েছেন। অথচ তাঁদের হাতে এখনও নিয়োগপত্র আসেনি। সেখানে আগামীকাল বুধবার থেকে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে আগে তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে।
আপত্তিটা ঠিক কোথায় তাঁদের? নয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু একবার টেট পাশ করার পর, আর কতবার ইন্টারভিউ দিতে হবে? আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? এই আপত্তি তুলে চলতি বছরে যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, তা বয়কটের ডাক দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ সকালেও এপিসি ভবনের সামনে চলতে থাকে বিক্ষোভ।
পুলিশ কী ভূমিকা নিয়েছে? গতকাল, সোমবার দুপুর থেকে টানা অবস্থানে বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাত বাড়তেই করুণাময়ী ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিধাননগর কমিশনারেট থেকে প্রচুর মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রাতেই আন্দোলনকারীদের পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারছে না। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মাইকে আবেদন জানায় পুলিশ। যদিও অবস্থান–বিক্ষোভে অনড় প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। মাইকে পুলিশকে ঘোষণা করতেও শোনা যায়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক বোর্ডের নিয়োগ পদ্ধতি চলছে। ফলে প্রার্থীদের দাবি মেনে নিয়োগ করা সম্ভব নয়।