আজ, বৃহস্পতিবার সল্টলেকের করুণাময়ীতে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন চতুর্থ দিনে পড়ল। এখন অনশনের ৪৭ ঘণ্টা এবং ধর্নার ৬৮ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ নন–ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) ভবনের সামনে টেট পাশ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের আমরণ অনশন চলছেই। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়েছেন অনেকেই।
ঠিক কী বলছেন মন্ত্রী ও পর্ষদ? ইতিমধ্যেই পর্ষদ সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, এই দাবি অন্যায্য। আর তা মানা হবে না। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘ভূ–ভারতে এমন কোনও দিন হয়েছে? যে একটা প্যানেল বেরিয়েছে, আর প্যানেলের সবাইকে চাকরি দিয়ে দিতে হবে।’ আর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, পদ্ধতি মেনে আবেদন ও ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। আন্দোলনকারীদের অবশ্য দাবি, তাঁরা দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন। ফের ইন্টারভিউ দেবেন না।
ঠিক কী পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে? রাজপথে রাতভর কেউ বসে আছেন খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে। আবার কেউ শুয়ে কাটাচ্ছেন রাস্তায়। কারও চোখে ঘুম নেই। চাকরি জোগাড়ের জেদ নিয়ে এবং নিয়োগের দাবিতে এখনও আমরণ অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা। খাওয়া–দাওয়া নেই! তার মধ্যেই পালা করে রাত জাগছেন আন্দোলনকারীরা। রাস্তায় শুয়ে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সাদা কাপড় গায়ে দিয়ে শুয়ে নিজেরাই বলছেন, তাঁরা জীবন্ত লাশ!
ঠিক কী বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী? এই আন্দোলন এবং তার জেরে অসুস্থতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বলু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চান সবার যোগ্যতার নিরিখে চাকরি হোক। এখানে চাকরি দেয় পর্ষদ। একজন অসুস্থ হলেই কি তাঁকে চাকরি দেওয়া যায়! যোগ্য কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ইন্টারভিউয়ে বসুন। একদল বিরোধী চান না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করুন। চান রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরি হোক। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য এটা করা হয়েছে। তবে আমরা চাইছি, স্বচ্ছভাবে, নৈতিকভাবে নিয়োগ করতে। আমার কাছে নির্দেশ আছে কোনও একটি সুপারিশও গ্রহণ করা হবে না। আমরা এখানে পর্ষদের উপর ভরসা রাখছি।’