প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ, শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখল।
1/5২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে দু'দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল৷ প্রথমে ২০১৬ সালে নিয়োগ হয়, পরে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে ২০১৮ সালে ফের বাড়তি নিয়োগ করা হয়৷ অতিরিক্ত প্রায় ৭৭৩ জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল৷ বাড়তি নম্বর দেওয়া নিয়ে আদালতে দায়ের হয় মামলা। (HT_PRINT)
2/5২০১৪ সালে প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছিল। ২০১৬ সালে প্রায় ৪০ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়। পরে দেখা যায়, টেট পরীক্ষার একাধিক প্রশ্নের উত্তরে ভুল ছিল। একাধিক মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, মামলাকারী প্রার্থীদের নম্বর দিয়ে যোগ্য বিবেচিত হলে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। সেই মতো ২৬৯ জনকে চাকরি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। (HT_PRINT)
3/5সেই নিয়োগ বেআইনি বলে উল্লেখ করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, ২৬৯ জনকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে নিয়োগ করেছে, তার জন্য কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। (HT_PRINT)
4/5এরপর প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে গত ১৯ জুলাই শুনানি শেষ হলেও রায়দান হয় আজ। (HT_PRINT)
5/5এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। যেমন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছিল, তেমনই চলবে এবং কলকাতা হাইকোর্টে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিপোর্ট দিয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে হবে। ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলই থাকবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতিটি নির্দেশই বহাল রেখেছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। (HT_PRINT)