২০১১ সাল থেকে কতজন প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট বিবরণ চাইল পর্ষদ। প্রতি জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের সম্পর্ক জানতে চাইছে রাজ্য। সেই নির্দেশিকায় নির্দিষ্ট ফরম্যাটে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা সহ বিবরণ পেশ করার কথা বলা হয়েছে। মূলত ইডির নির্দেশে এবার জেলা থেকে তথ্য তালাশ করল পর্ষদ।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। প্রকৃত যারা পাশ করেছিলেন একাধিক ক্ষেত্রে তাদের টপকে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তও চলছে পুরোদমে। এমনকী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের অপসারিত কর্তা মানিক ভট্টাচার্যও রয়েছেন তদন্তকারীদের স্ক্যানারের নীচে। এবার কার্যত সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার।
এদিকে সূত্রের খবর, টেট বা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে জানানো যাবে। স্বচ্ছতা আনার জন্য এই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গৌতম পালকে পর্ষদের নয়া সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি দায়িত্বভার নেওয়ার পরেই জানিয়ে দেন, এবার থেকে প্রতি বছর টেট হবে। ( নিয়োগ প্রক্রিয়া) নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকবে না। এমনকী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাও ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা থাকবে বলে খবর।
এসবের মধ্যেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল পর্ষদের রাজ্য অফিস। ইডি চাওয়ার পরেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই তথ্য পাঠাতে হবে। জেলায় জেলায় চিঠি পাঠিয়ে কতজন প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের সম্পর্কে তথ্য জানানো কথা বলা হচ্ছে। মূলত নিয়োগপত্র সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর। আর এই নির্দেশের পরেই জেলায় জেলায় অনেকেরই হৃদস্পন্দন বাড়তে শুরু করেছেন বলেও খবর।