এবার রাজ্যের শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক সিবিআইয়ের আতস কাঁচের তলায়। সিবিআই সূত্রে এমনটাই খবর। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে একাধিক নজির সামনে এসেছে সিবিআইয়ের কাছে। দেখা যাচ্ছে প্রার্থীরা সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। শুধু নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ফাঁকা খাতা জমা দিয়েছিলেন প্রার্থীরা। এরপর একটি উত্তরও না লিখেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন একাধিক প্রার্থী। এমন ঘটনাও জানতে পেরেছে সিবিআই।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন, একাধিক আধিকারিক ও জুনিয়র লেবেলের কর্মী, এমনকী ক্লার্করা এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। ওই আধিকারিকের অভিযোগ, এমন একাধিক খাতা পাওয়া গিয়েছে যেগুলি একেবারে ফাঁকা অবস্থায় জমা দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র নাম আর রেজিস্ট্রেশন নম্বর লেখা হয়েছিল। সেই প্রার্থীরাও নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন।
এদিকে এই ঘটনায় শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও কর্মপ্রার্থীদের মধ্যে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তার একাধিক প্রমাণও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এদিকে আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও জেরা করেছে সিবিআই। তবে ফাঁকা খাতা জমা দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে এই দুর্নীতির শিকড় কতটা বিস্তৃত ছিল তা ক্রমশ সামনে আসছে।