মাথার উপর আছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ভরসাতেই পরীক্ষা দিতে আসা। টেট পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে এভাবেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে স্মরণ করলেন একাধিক পরীক্ষার্থী। নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে একাধিক পরীক্ষার্থীকে এভাবেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি তাদের আস্থা জ্ঞাপন করতে দেখা যায়।
পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগে সাধারণত পরীক্ষার্থীরা ঠাকুর দেবতার নাম নেন। নিজের ইষ্টদেবতার নাম স্মরণ করতে দেখা যায় পরীক্ষার্থীদের। দইয়ের ফোঁটা পরে চাকরির পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন এমন নজিরও রয়েছে। পকেটে থাকে ঠাকুরের চরণের ফুল। এসবই বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে বেকার যুবক যুবতী চাকরির পরীক্ষা দিতে যান। তবে এবারের টেট অবশ্য় অন্য় এক ছবি হাজির করল বাংলায়। যেখানে পরীক্ষার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্মরণ করে ঢুকছেন। তাঁরা বলছেন, তিনিই ভগবান। তিনিই আছেন মাথার উপর।
কার্যত টেট পরীক্ষাকে ত্রুটিমুক্ত করতে গোটা বাংলা জুড়ে এদিন জোর তৎপরতা দেখা যায়। দিনহাটায় পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে পরীক্ষার্থীদের শাঁখা পলা খুলে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু তবুও পরীক্ষার্থীদের মনে একটাই সংশয় শেষ পর্যন্ত কি সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে? কিন্তু কেন এই বিশ্বাসহীনতা তৈরি হল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে?
পরীক্ষার্থীদের একাংশের মতে, আগের টেট নিয়োগে ভুরি ভুরি দুর্নীতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের হস্তক্ষেপে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁর একের পর এক নজিরবিহীন পদক্ষেপের জেরে দুর্নীতির কথা সামনে আসছে ক্রমশ। সেকারণে তাঁর প্রতি আস্থা বেড়েছে সাধারণ পরীক্ষার্থীর। বিশ্বাস একটাই, অনিয়ম কিছু হলে খোলা আছে আদালতের দরজা। সেখানে ন্য়ায় বিচার মিলবেই।
২০১৪ সালের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, এবারের পরীক্ষা পুরোটাই আইওয়াশ। ব্যাপারটা শীঘ্রই বোঝা যাবে।