আরজি করের সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এদিকে সেই মহিলা চিকিৎসককে কীভাবে খুন করা হয়েছিল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকেই কাটাছেঁড়া করছে। কিন্তু পুলিশ কি বলছে?
পুলিশ দাবি করছে, মৃত চিকিৎসকের শরীরের কোনও হাড় ভাঙা ছিল না। অর্থাৎ বার বারই দাবি করা হচ্ছিল যে তাঁর কলার বোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার পুলিশের একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে ওই মহিলা চিকিৎসকের কলার বোন বা পেলভিক বোন ভাঙার কোনও বিষয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে অপর একটি বিষয় দাবি করা হচ্ছে যে একলা সঞ্জয় রায়ের পক্ষে এই ঘটনা করা সম্ভব নয়। এবার প্রশ্ন সেই সঞ্জয়ের সঙ্গে তবে কে ছিল?
সঞ্জয় রায়কে সেদিনের ফুটেজ দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই দেখা হচ্ছে সেদিন সেমিনার হলের ভেতরে কি কেউ ছিলেন? একাধিক অডিও ক্লিপকে ঘিরেও নানা ধরনের চর্চা শুরু হয়েছে। তবে সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
জেরায় কী জানাচ্ছে ধৃত সঞ্জয় রায়?
প্রশ্ন উঠছে তিনি আচমকা সেমিনার হলে কেন গেলেন? সেমিনার হলে ওই মহিলা চিকিৎসক রয়েছে সেটা কি তাকে কেউ বলেছিল?
সূত্রের খবর, জেরায় ধৃত জানাচ্ছে সে পুলিশকে জানিয়েছে, সে নাকি অপারেশন থিয়েটার খুঁজছিল। একজন পরিচিত ব্যক্তির অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। সেকারণে তিনি অপারেশন থিয়েটার খুঁজছিল। শেষ পর্যন্ত সে দেখতে পায় যে সেমিনার হলে ওই মহিলা চিকিৎসক ঘুমোচ্ছেন। তারপরই সে ওই কাণ্ড ঘটায় বলে খবর।
এদিকে ওই ঘটনা ঘটানোর পরে ওই সঞ্জয় তার ডেরায় ফিরে যায়। আসলে ৪ নম্বর ব্যাটলিয়নের ঘরে থাকত সে। এমনকী পরে একজন তাকে আরজিকরের ঘটনার কথা জানিয়েছিল। সে সব শুনে বলেছিল, ও আচ্ছা। কিন্তু ততক্ষণে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ফেলে। আর সেই ফুটেজ দেখে পুলিশ চিহ্নিত করে ফেলে যে যে ঢুকছে আর বেরিয়ে আসছে সেমিনার হল থেকে সে আর কেউ নয় সঞ্জয় রায়।
এরপরই পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে এসে জেরা করা শুরু করে। এদিকে ওই রাতে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কারা ছিলেন প্রায় সবাইকে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।