সূচ ফুটিয়ে শিশু কন্যাকে হত্যার ঘটনায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরিবর্তে দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে আদালতের আরও নির্দেশ, দোষীরা ৩০ বছর পর্যন্ত জামিনের আবেদন করতে পারবেন না। অর্থাৎ জেলে থাকার সময়সীমা ৩০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেই দোষীরা জামিনের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে পুরুলিয়া জেলায়। ওই বছর ১১ জুলাই ৩ বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে সূচ ফুটিয়ে খুন করে তার মা মঙ্গলা গোস্বামী। তার প্রেমিক সনাতন ঠাকুর এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পেশায় কীর্তনশিল্পী তথা ওঝা সনাতনের বিরুদ্ধেই শিশুটির শরীরে সাতটি সুচ ফুটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুকে প্রথমে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই বছরের ২১ জুলাই মৃত্যু হয় ওই শিশুর।
চিকিৎসকরা জানতে পারেন, শিশুর শরীরের একাধিক জায়গায় সূচ ফোটানো হয়েছিল। এমনকি তার গোপনাঙ্গেও সূচ ফোটানো হয়েছিল। তার জেরে মৃত্যু হয়েছিল শিশুর। এরপর পুলিশ প্রথমে ওই শিশুর মাকে গ্রেফতার করে। পরে তার প্রেমিককে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে। গত বছর পুরুলিয়া জেলা আদালত এই ঘটনায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। এরপরে দোষীরা নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চে। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।