বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককগামী বিমান। ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে কলকাতা থেকে উড়ান শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই গোলযোগ লক্ষ্য করেন চালক। এরপরেই বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমানটি জরুরি অবতরণ করান চালক। অবতরণের পর ইঞ্জিনিয়াররা বিমানটি খতিয়ে দেখে জানতে পারেন বাঁদিকের ইঞ্জিনের ব্লেড ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ১টা ৯ মিনিটে। বিমানটি ১৭৮ জন যাত্রী এবং ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককগামী ওই বিমানটি স্পাইসজেটের। উড়ান শুরু করার পর বিমান চালক বুঝতে পারেন কিছু সমস্যা রয়েছে। তখন তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে জরুরি অবতরণের জন্য অনুমতি চান। অনুমতি মিলতেই বিমানটি জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করান চালক। তড়িঘড়ি বিমানের আপদকালীন দরজা দিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে আনা হয়। তবে এই সমস্যা দেখার পর সেই বিমানটি চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে সকাল ৭ টা ১০ মিনিট নাগাদ অন্য বিমানে করে যাত্রীদের ব্যাঙ্ককে পাঠানো হয়। ফলে রাত পর্যন্ত যাত্রীদের বিমানবন্দরে কাটাতে হয়। বিমানের ইঞ্জিনে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কেন বিমানটিকে কেন যাত্রা শুরু করার অনুমতি দেওয়া হল, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একই সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে উড়ান সংস্থা বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়। বিমানটি মেরামতের পর পুনরায় উড়ানের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিনই কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে যোধপুর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো বিমান। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিমানের জরুরি অবতরণ করতে হয় বলে বিমানবন্দর সূত্রের খবর। বিমানটিতে হাইড্রোলিক সমস্যার কথা পাইলট জানান কলকাতার এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে। সেই মতো এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল স্টেশনের তরফে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়। দুপুর ২ টো ৫০ মিনিট নাগাদ স্ট্যান্ডবাই ঘোষণা করা হয় বিমানবন্দরে। সেই সময় পাইলট ১৫৮ জন যাত্রী এবং চারজন কেবিন ক্রুকে নিয়ে বিমানটিকে অবতরণ করান। বিকেল ৪ টে ৩৭ মিনিট নাগাদ স্থানীয় স্ট্যান্ডবাই তুলে নেওয়া হয় বলে খবর।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)