ভাবা যায়। জিরাফ মানেই তো পশুকূলে একেবারে ‘টল অ্য়ান্ড হান্ডসাম’। কিন্তু সেই লম্বা জিরাফ দেখার দিনও বোধ হয় শেষের পথে। এবার হয়তো চিড়িয়াখানা গেলেন, আর খাঁচার মধ্যে দেখলেন বেঁটেখাটো, গুড়গুড়ে একটা জিরাফ ঘুরছে। গল্পের মতো মনে হলেও এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিনকে দিন নাকি বেঁটে হয়ে যাচ্ছে চিড়িয়াখানার জিরাফ। কার্যত চমকে ওঠার মতোই খবর।
চিড়িয়াখানায় গিয়ে একেবারে ঘাড় উঁচু করে জিরাফ দেখার মজাই আলাদা। খাঁচার সামনে ভিড় থাকলেও পেছন থেকে দিব্যি দেখা যায় সেই লম্বা গলা জিরাফ। চিড়িয়াখানায় জন্মানো সেই জিরাফই নাকি খাটো হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একই জিনের মধ্যে প্রজননের জেরে জিনগত ত্রুটি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শাবকের হাতে পায়ে খুঁত দেখা যায়। জিরাফ আবার বেঁটেও হয়ে যায়। এমনটাই মত পশু চিকিৎসক উৎপল দাসের।
চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, একই জিনের সঙ্গে প্রজনন হওয়ায় জিরাফের উচ্চতা কমে যাচ্ছে। অথচ উচ্চতাই হচ্ছে জিরাফের পরিচয়। জিরাফের উচ্চতা ধরে রাখতে বাইরে থেকে সঙ্গী এনে প্রজনন করানো হবে।
সত্যি তো উচ্চতাই যদি না থাকল তবে আর জিরাফের থাকল কী? চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর সাধারণত একটি জিরাফ উচ্চতায় ১৫-২০ ফুট হয়। আর চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া জিরাফ ১০-১২ ফুট হয়েই থমকে যাচ্ছে। জার্মানি থেকে প্রথম জিরাফ এসেছিল ১৯৮৬ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। আর সেই পরিবারে এখন ১১জন সদস্য। কিন্তু নতুন প্রজন্মের সবাই কেমন যেন বেঁটে বেঁটে। সেকারণেই সেই লম্বা ফিগার পেতে আপাতত জার্মানির চিড়িয়াখানা থেকে লম্বা জিরাফ এনে প্রজনন করানোর কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ।