বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Illegal filling of wetlands: বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করলেই কড়া পদক্ষেপ, নয়া নির্দেশিকা জারি করল সরকার

Illegal filling of wetlands: বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করলেই কড়া পদক্ষেপ, নয়া নির্দেশিকা জারি করল সরকার

বেআইনিভাবে জলাভূমি রুখতে পদক্ষেপ। প্রতীকী ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা (Soumick Majumdar/HT Bangla)

জলাভূমি ভরাটের কোনও অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। শুধু তাই নয়, এই সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকরাও কোনও পদক্ষেপ না করলে তাদেরকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া অন্যায়ভাবে কেউ জমির চরিত্র বদল করলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণের অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। এভাবে জলাভূমি ভরাট করার ফলে বাস্তুতন্ত্রের ভারসম্য নষ্ট হচ্ছে। এনিয়ে বরাবরই সরব থেকেছেন পরিবেশবিদরা। সম্প্রতি, একটি মামলায় বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট রুখতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরেই এবার জলাভূমি ভরাট নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের মৎস্য দফতর।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জলাভূমি ভরাটের কোনও অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে। শুধু তাই নয়, এই সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকরাও কোনও পদক্ষেপ না করলে তাদেরকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া অন্যায়ভাবে কেউ জমির চরিত্র বদল করলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি এনিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেই পদক্ষেপ করল সরকার। জানা গিয়েছে, কোথাও বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জেলা এবং ব্লক আধিকারিকদের নজরদারি চালাতে হবে। অনেক সময় ব্লক এবং জেলা অধিকারিকরা অভিযোগ পেলেও সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ করেন না। এখন থেকে আর তা করলে চলবে না। জলাভূমির চরিত্র বদলের কোনও অভিযোগ পেলেই সেই মুহূর্তে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ব্যবস্থা না নিলেই ওই সমস্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে জলাভূমি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে আইনি জটে জলাভূমি সংস্কারের কাজ আটকে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভূমি রাজস্ব দফতরের নিজস্ব আইন রয়েছে, তাতে তাদের রেকর্ডে পুকুর বা জলাভূমি হিসেবে কোনও জায়গা নতুন থাকলে সেটা বোজানো যায় না। কিন্তু, এমন অনেক পুকুর বা জলাভূমি রয়েছে যেগুলি নথিভুক্ত নেই। সেগুলি নির্বিচারে ভরাট করা হচ্ছে। তা বন্ধ করার জন্য ১৯৮৪ সালে মৎস্য দফতর আইন তৈরি করে। ২০০৮ সালে সেই আইন সংশোধন করা হয়। তাতে বলা হয় পুকুর বা জলাভূমি হিসেবে উল্লেখ না থাকলেও তা ভরাট করা যাবে না। তবে সেই আইন মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। জমি মাফিয়ারা নির্বিচারে জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে অভিযোগ জানানো হলেও সেই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সময় লেগে যায়। কিন্তু, ততদিনে জলাভূমি ভরাট সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তাই জলভূমি ভরাট রুখতে মৎস্য দফতরের তরফ থেকে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

বন্ধ করুন