মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সংক্রমিত স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যুতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে উঠছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ফলে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে তাতে যে সংক্রমণ রয়েছে তা আগে থেকেই জানত স্বাস্থ্যভবন। সেজন্য ওই সংস্থার স্যালাইনসহ ১৪টি পণ্যকে আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে, তার পরেও ওই স্যালাইন ওয়ার্ড পর্যন্ত পৌঁছল কী করে?
সরকারি চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গত নভেম্বরে একই ভাবে কর্নাটকে ৪ জন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। তখন কর্নাটক সরকার জানতে পারে একটি নির্দিষ্ট সংস্থার নিম্নমানের স্যালাইন ব্যবহারের ফলে প্রসূতিদের মৃত্যু হয়েছে। এর পর চিঠি দিয়ে দেশের সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগকে ওই সংস্থার ব্যাপারে সতর্ক করে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। অভিযুক্ত সংস্থার একটি কারখানা রয়েছে শিলিগুড়িতে। চিঠি পেয়ে সেখানে পরিদর্শনে যান রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা। সেখানে একাধিক পণ্য গুণমানে খারাপ বলে পরীক্ষা করে জানতে পারেন তাঁরা।
এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্যকে নিষিদ্ধ করেন তাঁরা। এমনকী ওই সংস্থাকে যাতে কোনও সরকারি হাসপাতাল বরাত না দিতে পারে সেজন্য ডিসেম্বর মাসে ১৪টি পণ্যকে সরকারি পোর্টালে ব্লক করে দেওয়া হয়। জানুয়ারিতে সমস্ত সরকারি হাসপাতালকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেকথা জানানো হয়। প্রশ্ন উঠছে, তার পরও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি ওয়ার্ডে ওই সংস্থার নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার হল কী করে? কার গাফিলতিতে মা কী জিনিস কোনও দিনও জানতেই পারবে না একটি শিশু?
এই ঘটনায় অবাক নন চিকিৎসক পবিত্র গোস্বামী। তিনি বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে। তাই কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলেও কারও শাস্তি হয় না।