অবশেষে কি ভাঙল সরকারের শীতঘুম? সংক্রমিত স্যালাইনে প্রসূতির মৃত্যুর প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পরে নিষিদ্ধ সংস্থার সমস্ত পণ্য সরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশিকা জারি হল স্বাস্থ্যভবন থেকে। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল ও স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ইতিমধ্যে পৌঁছেছে নির্দেশিকা। আর নির্দেশিকা পৌঁছতেই রোগীর বেডের পাশে টাঙানো স্যালাইনের বোতল খুলে নিতে দেখা গিয়েছে হাসপাতালের কর্মীদের। কিন্তু প্রশ্ন হল, এর বিকল্প কী?
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্যভবন থেকে নির্দেশিকা জারি করে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালসের ১০টি পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সমস্ত পণ্য হাসপাতালে কোথাও ব্যবহার করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। সেই তালিকায় রিঙ্গার ল্যাকটেট ছাড়াও রয়েছে, প্যারাসিটামল ও শিশুদের শরীরে সোডিয়াম - পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে ব্যবহৃত তরলও। নতুন সরবরাহ পেতে নতুন করে বরাত দিতে বলা হয়েছে হাসপাতালগুলিকে। আর এর পর থেকেই হাসপাতালে যেখানে যত স্যালাইনের বোতল রয়েছে তা বার করে ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অজ্ঞাত জায়গায়।
রাজ্য সরকারের এই নির্দেশে প্রশ্ন উঠছে, রোগীমৃত্যুর পর সংক্রমিত স্যালাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে স্বাস্থ্য ভবনের ১ দিনের বেশি লাগল কেন? নিষিদ্ধ সংস্থার পণ্যগুলির বিকল্প কী হবে? তবে কি আপাতত এই ওষুধ ও স্যালাইনগুলি খোলা বাজার থেকে কিনতে হবে সাধারণ মানুষকে? কেন সরকারি গাফিলতির গুণাগার দেবেন তাঁরা?