চিট ফাণ্ড মালিকদের আদালতে হাজির করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যাযের ডিভিশন বেঞ্চ। এমপিএস-সহ আরও চারটি চিট ফাণ্ড সংস্থার মালিকদের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে গুলশন গ্রুপ অফ কোম্পানিজ, আইনোভা, প্রিমিয়ার অ্যাগ্রো ও ফিডেক্স ইন্ডাস্ট্রি৷ এর মধ্যে এমপিএসের বেশ কয়েকটি সংস্থার ডিরেক্টর এখনও জেলে বন্দি রয়েছেন৷ তাঁদেরও আগামী শুনানিতে হাজির করতে বলা হয়েছে৷
হাইকোর্টের মত, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চিট ফান্ড সংস্থাগুলির কোনও আইনজীবী আদালতে উপস্থিত থাকছেন না৷ ফলে, মামলার একপেশে শুনানি করতে হচ্ছে। এতে আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণের বিষয় দিনের পর দিন ঝুলেই থাকছে।
এই প্রসঙ্গে আমানতকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, ‘এমপিএসের মামলায় আগে আদালতে আইনজীবী দাঁড়াতেন৷ কিন্তু এখন কোনও আইনজীবীকেই দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না৷ আমাদের তরফে আমরা জানিয়েছি। এমপিএসের পাঁচজন ডিরেক্টর আপাতত দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন৷ তাঁদেরও পরের শুনানির দিন আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷’
প্রসঙ্গত, চিট ফান্ড সংক্রান্ত অভিযোগগুলি নিয়ে দিনের পর দিন আদালতে মামলা চলছে। কিন্তু মামলায় চিট ফাণ্ড সংস্থাগুলির তরফে মালিকপক্ষ বা আইনজীবীরা কেউই আদালতে উপস্থিত থাকছেন না৷ এতে আমানতকারীদের টাকা না ফেরানোর মনোভাবই প্রকট হচ্ছে।ফলে, আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে না বলে অভিযোগ৷ সেক্ষেত্রে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শ্লথ হয়ে পড়ছে। আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণের বিষয় দিনের পর দিন ঝুলেই থাকছে। এদিন ক্ষুব্ধ কোর্ট কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও এডিজি সিআইডিকে এই নির্দেশ দিয়েছে৷ এই নির্দেশে আদালত জানিয়েছে, আগামী শুনানিতে চিটফাণ্ডের মালিকদের আদালতে হাজির করতে হবে পুলিশকে।