আদালতের নির্দেশে চাকরি খোয়ানো ব্যক্তিকেই শিক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আদালতে এই অভিযোগ প্রমাণ হতেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে FIR করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
জানা গিয়েছে ২০১১ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই দুর্নীতির তদন্তে আদালত একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিরাজুলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
অভিযোগ, তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সেলের এই নেতাকে হাওড়া জেলা শিক্ষা দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর চেয়ারে বসেই দেদার দুর্নীতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সেকথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন এক ব্যক্তি সেই মামলার শুনানিতে সিরাজুলের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
আদালতের এই নির্দেশের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি আর মুসলিম তোষণ এই দুয়ের ওপরে টিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সিরাজুল এই দুয়ের পারফেক্ট কম্বিনেশন। তাঁকে কী করে ময়দানের বাইরে রাখবেন মমতা? এরাই তৃণমূলের সম্পদ। এরা না থাকলে তো তৃণমূলটাই থাকবে না। আদালতের নির্দেশের পরে হয়তো FIR হবে। কিন্তু তৃণমূল সরকারকে মানুষ যতদিন ছুড়ে না ফেলবে ততদিন এদের বিচার হবে না।’