হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেলেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী নারী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। শনিবার পর্যন্ত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্রমিকের কাজ করতে মুসলমানরা যখন BJPশাসিত রাজ্যে যান তখন কি ইমামরা ঘুমান? শুভেন্দু
পড়তে থাকুন: ইন্ডি জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন ঘোষণা, মমতার রাজনৈতিক চাল নিয়ে নানা মুনির নানা মত
মঙ্গলবার সন্দেশখালি থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় করা পুলিশের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতার হন পিয়ালি দাস। তাঁর বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে ভুয়ো অভিযোগ দায়েরের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। থানায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারাও যোগ করা হয়েছে। এর পর বসিরহাট আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পিয়ালি। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে সেই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে পিয়ালিকে ১২ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চেয়ে বসিরহাট আদালতে আবেদন করে পুলিশ। সঙ্গে তাঁকে নতুন একটি মামলায় গ্রেফতার করতে চায় তারা।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সেনগুপ্ত আদালতে না আসায় পিয়ালির আবেদনের শুনানি হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। পিয়ালির আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি সিনহা জানান, শনিবার পর্যন্ত পিয়ালিকে নতুন করে গ্রেফতার দেখাতে পারবে না পুলিশ। তাঁকে হেফাজতেও নিতে পারবে না তারা। শুক্রবার বিচারপতি সেনগুপ্ত আদালতে এলে নতুন করে মামলাটির শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: অভিযোগ তুলতে ১০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল TMC, দাবি সন্দেশখালির নির্যাতিতার
পিয়ালি দাসের গ্রেফতারিতে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, সন্দেশখালির আন্দোলনকে দমাতে না পারে পরিকল্পনা করে পুলিশকে দিয়ে পিয়ালি দাসকে গ্রেফতার করিয়েছে তৃণমূল। বুধবার সন্দেশখালির এক নির্যাতিতা বলেন, পিয়ালি দাস কাউকে ভুল বুঝিয়ে বা সাদা কাগজে সই করিয়ে অভিযোগ করাননি। অভিযোগ হয়েছে থানায় পুলিশ আধিকারিকদের সামনে। থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় সব ধরা রয়েছে। পিয়ালি যেহেতু হিন্দি বলতে পারেন তাই সেদিন রেখা শর্মার সঙ্গে গ্রামের মহিলাদের কথা বলাতে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ মিথ্যে অভিযোগে পিয়ালিকে গ্রেফতার করেছে।