এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত করলেও এনআইএ আইনে সেই তদন্তের সব রিপোর্ট পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি মেনে সরাসারি এনআইএ তদন্ত না দিলেও রাজ্যকে এই নির্দেশ মানতে বলেছে আদালত। রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তদন্তে নাক গলাবে কি না এনআইএ তা ঠিক করবে।
এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য ইতিমধ্যে ওই ঘটনার সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। আদালতও সেই সিআইডি তদন্তকেই জারি রাখতে বলে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, এনআইএ আইনের ৬ ধারার বিধানগুলিকে মেনে চলতে হবে। বিধানে বলা হয়েছে, একটি 'নির্ধারিত অপরাধের' ক্ষেত্রে তদন্তের যাবতীয় কাগজপত্র এনআইএকে পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সিদ্ধান্ত নেবে তারা তদন্ত শুরু করবে কি না।
বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বিস্ফোরণের ছবি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচরাপতি। রাজ্য যে এফআইআরটি করেছে তাতে বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। আদালত মামলায় সেই ধারা যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করারও নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
মামলায় পূর্ব মেদিনীপুরে এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজির কারখানা বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৯জন মারা গিয়েছেন। আহত চারজন হাসপাতালে ভর্তি। গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগকে।
বিস্ফোরণের পরই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মোটরবাইকে চেপে চম্পট দিয়েছিলেন ভানু বাগ। পুলিশের সন্দেহ ছিল পড়শি রাজ্য ওড়িশায় গা–ঢাকা দিয়েছে কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। তারপর তদন্তে নেমে জানা যায়, ওড়িশার কটকের হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসাধীন ভানু বাগ। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বিস্ফোরণে। কটকেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। কিছুটা সুস্থ হলে তাকে রিমান্ডে কলকাতায় আনা হবে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।