আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতেও উঠে এল প্রমাণ লোপাটের প্রসঙ্গ। সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বললেন, সিবিআই যা জানিয়েছে তা ভয়ঙ্কর।
আরও পড়ুন - জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরতেই বহিষ্কৃত নেতাকে মালা পরিয়ে উৎসবে মাতলেন TMC কর্মীরা
পড়তে থাকুন - ভারতে এসে ফেসবুকে ভারত ভাগের হুমকি, ঘাড় ধরে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মোদী সরকার
এদিন আদালতে সিবিআইয়ের পেশ করা স্টেটাস রিপোর্ট খুঁটিয়ে পড়েন তিন বিচারপতি। এর পর সওয়াল জবাব শুরু হলে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, এই ঘটনায় ২টি সিজার লিস্ট তৈরি হওয়া উচিত ছিল। একটি যেখানে দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই জায়গার। অন্যটি ময়নাতদন্তের পর যা ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে তার। কিন্তু এক্ষেত্রে একটাই সিজার লিস্ট তৈরি হয়েছে। নির্যাতিতার কয়েকটি পোশাক যেখানে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানেই পড়ে ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্যাতিতার দেহের যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল তা সংগ্রহ করা হয়েছিল শুক্রবার। শনি ও রবিবার ফরেন্সিক ল্যাব বন্ধ থাকে। তাহলে কি সেই সব নমুনা ঠিক মতো সংগ্রহ করা হয়েছিল?’
ফিরোজ এডুলজির সওয়াল শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার বক্তব্যের সঙ্গে আদালত সহমত। এব্যাপারে আমরাও উদ্বিগ্ন। সিবিআই স্টেটাস রিপোর্টে যা উল্লেখ করেছে তা ভয়ঙ্কর।
আরও পড়ুন - ‘হাততালি দিয়ে ডিস্কো ড্যান্স করে আন্দোলন হয় না’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের
এদিন আদালত জানায়, সিবিআই কোন পথে তদন্ত করবে তা আদালত ঠিক করে দিতে পারে না। আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিতেই পারি। কিন্তু তাতে আসল উদ্দেশ সাধিত হবে না। তাড়াহুড়ো করলে যাবতীয় প্রক্রিয়া নষ্ট হবে।