যত দোষ-সন্দীপ ঘোষ। একেবারে যেন বাস্তবের আরজি করে ফলে যাচ্ছে গোটা বিষয়টি। অভিযোগ আগেই করেছিলেন তৎকালীন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তবে এবার আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে সেই সন্দীপ ঘোষের নাম বার বার সামনে আসছে। এদিকে সর্বভারতীয় ফেডারেশন গভর্নমেন্ট ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি সুবর্ণ গোস্বামী এনিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
বোলপুরে মিছিল করেছিলেন চিকিৎসকরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ গোস্বামী। তিনি বলেন, শাসক দলের মদতে আরজি করের সমস্ত প্রমাণ লোপাটের মূলে সন্দীপ ঘোষ। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি।
সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, অভিযুক্তদের আড়াল করার ঘৃণ্য চেষ্টা চলছে। ঘটনার পরে ওই ছাত্রীর বাবা মাকে খবর দেওয়া হয়েছিল যে আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ডাকার পরে তাদের তিন ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। মৃতদেহ দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, সন্দীপ ঘোষ আর তার অনুসারীরা আর শাসকদলের কিছু নেতা মিলে শলাপরামর্শ করছিলেন কীভাবে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়া যায়। প্রমাণ লোপাটের জন্য নানা চেষ্টা করা হয়। নিজেদের অনুগামীদের নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল যাতে রিপোর্টে গড়মিল করা যায়। সেকারণে ভুলে ভরা ফরেন্সিক রিপোর্ট এসেছে। কোনও নিয়ম মানা হয়নি। একের পর এক বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে।
সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, সংস্কারের নামে ঘটনাস্থল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৪ তারিখ রাতে যখন মহিলারা রাস্তায় নেমে মিছিল করছিলেন তখন ৩০ থেকে ৪০জন গুন্ডা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সশস্ত্র গুন্ডাদের দিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। সমস্ত কিছুতেই সন্দীপ ঘোষ জড়িত। …..
প্রায় দেড় বছর আগে আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি যে যে অভিযোগ করেছিলেন তা নিয়ে এবার তদন্তে নামবে সিবিআই। সেটা একেবারে হাইকোর্টের নির্দেশে। সেক্ষেত্রে সিটের আর কোনও মান্যতাই থাকল না। কিন্তু কেন সেই অভিযোগ গুলি নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও গুরুত্ব দেয়নি তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছিল।
আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন আখতার আলি। সেগুলি হল….
মেডিক্যাল বর্জ্য সংক্রান্ত অনিয়ম।
বেওয়ারিশ লাশ বেসরকারি সংস্থার কাছে বেচে দেওয়া।
ছাত্রছাত্রীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায় করা।
এবার তার সঙ্গেই সন্দীপের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগও উঠল।