গতমাসেই বিদায় নিয়েছে বর্ষা। তারপরেও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। মাঝখানে ডেঙ্গি কিছুদিন কম থাকলেও আবার তা বাড়তে শুরু করেছে। যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরসভার কাছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ার ফলে শহরের হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যাও উত্তরোত্তর বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতার নতুন করে ৭৪৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। যা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
কিছুদিন আগে শহরে ডেঙ্গির পজিটিভ রেট ছিল ১৪ শতাংশ। তবে তা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ১৮ শতাংশ। কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের পরিসংখ্যান তেমনটাই বলছে। প্রতিদিন দক্ষিণ শহরতলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৫০ জন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। যা গত কয়েক বছরে তুলনায় সর্বোচ্চ। এমনকী ২০১৯ সালে যখন শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছিল সেই সময়ও এত ডেঙ্গি রোগী ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র।
তিনি জানান, ১০দিন আগে হাসপাতালে দৈনিক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ৩০ এর নিচে নেমে গিয়েছিল। তা আবার বাড়ছে। একই কথা জানিয়েছেন শহরের আরও একটি বেসরকারি হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে কিছুদিন আগে দৈনিক ২৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছিলেন। এখন তা অনেকটাই বেড়েছে। অপর একটি হাসপাতালে ২৩ থেকে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৩৭ জন। এছাড়া একবালপুরের একটি বেস হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
যদিও পুরসভার থেকে সতর্ক করা হয়েছিল যে এ বছর ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত ডেঙ্গি কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে ডেঙ্গি যে নভেম্বর এইভাবে বৃদ্ধি পাবে তা আঁচ করতে পারেননি আধিকারিকরা। সুদীপ্ত মিত্র অবশ্য মনে করেন, যে সমস্ত রোগীরা হাসপাতালে আসছেন। ফলে তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই হাসপাতালে তাদের পর্যবেক্ষণের ফলে মৃত্যুহার কমছে।