আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আগে থেকেই চিনতেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আদালতে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার অভিজিৎ মণ্ডলকে আদালতে পেশ করে সিবিআই জানিয়েছে, সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে ফোনে কথাও হত অভিজিৎ মণ্ডলের।
আরও পড়ুন - জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরতেই বহিষ্কৃত নেতাকে মালা পরিয়ে উৎসবে মাতলেন TMC কর্মীরা
পড়তে থাকুন - ভারতে এসে ফেসবুকে ভারত ভাগের হুমকি, ঘাড় ধরে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মোদী সরকার
এদিন আদালতে সিবিআই জানায়, অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার ঠিক পরে তিনি কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন জানা গিয়েছে সেই ফোন নম্বর থেকে। ফোন নম্বরের সূত্রেই জানা গিয়েছে সিভিক ভলান্টয়ার সঞ্জয় রায়কে আগে থেকে চিনতেন অভিজিৎ মণ্ডল। বিভিন্ন সময় ২ জনের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে।
এদিন আদালতে অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, ঘটনার খবর পেয়েই তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার প্রস্তুতি শুরু করে দেন অভিজিৎ মণ্ডল। সেই সূত্রেই তিনি দেরিতে FIR দায়ের করেছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরজি কর কাণ্ডে FIR দায়ের করতে কেন ১৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনার অভিজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের ফোনে বারবার যোগাযোগ হয়েছে। সন্দীপের নির্দেশেই অভিজিৎ মণ্ডল তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন - ‘হাততালি দিয়ে ডিস্কো ড্যান্স করে আন্দোলন হয় না’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের
এদিন আদালতে সিবিআইকে বিচারক প্রশ্ন করেন, সন্দীপ ঘোষ বা অভিজিৎ মণ্ডল সরাসরি খুন বা ধর্ষণে যুক্ত এমন কি কোনও প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, না, তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। তখন বিচারপতি বলেন, তাহলে এদের বিরুদ্ধে কেন খুন ও ধর্ষণের মামলাতেই বিচার চালাচ্ছে সিবিআই। জবাবে আইনজীবী বলেন, যেহেতু ওটিই প্রাথমিক মামলা তাই তাতেই আপাতত ২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে এলে তাদের বিরুদ্ধে আলাদা ধারা প্রয়োগ করবে সিবিআই।