গত ১৪ই এপ্রিল থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন নিমতার বাসিন্দা চিকিৎসক গৌরব রায়। অন্যান্য রোগী ও তাঁর পরিজনরাই বাড়ি ফেরালেন তাঁকে। ডাক্তারবাবুর বিপদের দিনে পাশে থাকলেন তাঁরাই। কারণ সংকটের দিনে এই চিকিৎসকই রোগীদের পাশে ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিমতা বাজার এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর থেকেই আতঙ্কে ঘরছাড়া ছিলেন ওই চিকিৎসক। অপর এক বন্ধু চিকিৎসকের বাড়িতে কার্যত আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। এদিকে মৃত যুবক পাপ্পু কুন্ডুর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ পাপ্পুর বুকে ব্যাথা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসককে ডেকেও পাওয়া যায়নি। এর জেরেই চিকিৎসক গৌরব রায়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। তাঁর পরিবারের লোকজনকেও মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
তবে অন্যান্য রোগীর পরিজনদের দাবি, কোভিড পরিস্থিতিতে ডাঃ রায় ছিলেন অন্যতম ভরসা। এক ডাকে পাওয়া যেত তাঁকে। এবার আতঙ্কে আত্মগোপন করে থাকা সেই চিকিৎসককেই সসম্মানে বাড়ি ফেরালেন অন্য়ান্য রোগীর পরিজনরা। সংকটের দিনে যাঁরা ডাক্তারবাবুর কাছ থেকে সহায়তা পেয়েছেন তাঁরাই এবার ওই চিকিৎসককে বাড়ি ফেরালেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ডাঃ কৌশিক চাকি চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। এমনকী অভিযুক্তদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিতও করা হয়েছে। তাঁদের দাবি সেদিন ওই রোগীর বুকে ব্যাথা হচ্ছিল। ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে কেন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল? এই ঘটনায় অভিযুক্তদের ছবিও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের প্রশ্ন, যেখানে ওই চিকিৎসক রোগীর কাছে যাননি বলা হচ্ছে, ডা সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে কীভাবে?